প্রেরিতগণের কার্য-বিবরণ
৩৬ অধ্যায়—গালাতীয়ায় পদস্খলন
এই অধ্যায়টা গালাতীয়দের কাছে পৌলের পত্রের ওপর ভিত্তি করে লেখা
করিন্থে বিলম্ব করবার সময়, ইতোপূর্বে প্রতিষ্ঠিত মণ্ডলীগুলোর কয়েকটার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে পৌলের গভীর উৎকণ্ঠার অনুভূতি হবার যথেষ্ট কারন ছিল। যিরুশালেমের বিশ্বাসীদের ভেতর গড়ে ওঠা ভ্রান্ত শিক্ষকদের প্রভাবের মাধ্যমে গালিতীয় বিশ্বাসীদেড় মধ্যে বিভক্তি, ধর্মবিরুদ্ধতা, ও ইন্দ্রিয়সখাসক্তি দন্ত বিস্তার লাভ করছিল। এই ভ্রান্ত শিক্ষকেরা সুসসামাচারের সত্যের সঙ্গে যিহুদী ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ করত । যিরুশালেমের জেনারেল কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তারা পরিবর্তিত পরজাতীয় বিশ্বাসীদের যিহুদীদের আনুষ্ঠানিক বিধি পালন করতে পরোচিত করত। AABen 315.1
অবস্থা সংকটপূর্ণ ছিল । যে মন্দতা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাতে গালাতীয় মগুলীগুলোকে অতি দ্রুত ধ্বংশের পথে নিয়ে যাবার আশঙ্কা ছিল। AABen 315.2
পৌলের হৃদয় বিদীর্ণ হল, যাদের তিনি বিশস্ভাবে সুসমাচারের নীতিমালা শিখিয়েছিলেন তাদের এ প্রকাশ্য পদস্খলনে তার আত্মা বিচলিত হল। পৌলতৎক্ষণাৎ এই উদ্দেশ্যমূলক ভাবে বিভ্রান্ত বিশাসীদের কাছে , তারা যে মিথ্যা তত্ত্ব গ্রহণ করেছে তা পকাশ করে, আর যারা সত্য পরিত্যাগ করে চলে গিয়েছে, তাদের কাছে কঠোর তিরস্কার করে চিঠি লেখেন । “আমাদের পিতা ঈশ্বর এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্ট হইতে অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের প্রতি বর্তুক” গালাতীয়দের এই কথাগুলো দিয়ে সম্ভাষণ করার পরে, তিনি তাদের তীক্ষ্ণ ভৎসনা করে, এই কথাগুলো বলে তার বক্তব্য আরম্ভ করেন: “আমার আশ্চয্য বোধ হইতেছে যে, খ্রীষ্টের অনুগ্রহে যিনি তোমাদিগকে আহ্বান করিয়াছেন, তোমরা এত শীঘ তাহা হইতে অন্যবিধ সসমাচারের দিকে ফিরিয়া যাইতেছ। তাহা আর কোন সুসমাচার নয়; কেবল এমন কতগুলি লোক আছে, যাহারা তোমাদিগকে অস্থির করে, এবং খ্রীষ্টের সুসমাচার বকত করিতে চায়। কিন্ আমরা তোমাদের নিকটে যে সসমাচার পচার করিয়াছি, তাহা ছাড়া অন্য সসমাচার যদি কেহ পচার করে-আমরাই করি, কিশা স্গ হইতে আগত কোন দতই করুক-তবে সে শাপগস্ হউক।” AABen 315.3
পৌলের শিক্ষা শাস্সম্মত ছিল, আর পবিত্র আআ তার পরিশমের সাক্ষী ছিলেন; সতরাং তিনি তাদের যে সত্য শিক্ষা দিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধ কোন শিক্ষা গহণ না করতে তাদের সতক করে দেন। AABen 316.1
পেরিত গালাতীয় বিশাসাঁদের তাদের খাষ্টিয় জীবনের পথম অভিজ্ঞতা যতসহ কারে বিবেচনা করতে বলেন। ” হে অবোধ গালাতীয়েরা, কে তোমাদিগক মঞ্ধ করিল? তোমাদেরই চক্ষের সম্মখে যাশ খাষ্ট ত ক্রশারোপিত বলিয়া স্পষ্টাক্ষরে লিখিত হইয়াছিলেন। কেবল এই কথা তোমাদের কাছে জনিতে চাহি, তোমরা কি ব্যবস্র কাষ্য হেত আতাকে পাইয়াছ ? না বিশাসের বাত্তা হেত? তোমরা কি এমন অবোধ ? আতআতে আরম করিয় এখন কি মাংসে সমাপ্ত করিতেছ? তোমরা এত দঃখ কি বথাই ভোগকরিয়াছ-যদি বাস্বিক বথা হইয়া থাকে ? বল দেখি, যিনি তোমাদিগকেআত যোগাইয়া দেন ও তোমাদের মধ্যে পরাক্রম কাধ্য সাধন করেন তিনি কি ব্যবসার কাষ্য হেত তাহা করেন ? না বিশাসের বান্তা শবণ হেত ?” AABen 316.2
পৌল এইভাবে গালাতায়াস্ বিশাসীদের তাদের নিজেদের বিবেকের আদা গেপ্তার করতে চেষ্টা করেন। ঈশরের ত্রাণকারী শক্তির ওপর নিভর করে, পদস্থলিত শিক্ষকদের ভ্রান্ শিক্ষা মেনে নিতে অস্কার করে তিনি নত নবিশাসীদের দেখাবার চেষ্টা করেন যে, তারা ভীষণ ভাবে পতারিত হয়েছে, কিন তারা তাদের স্সমাচারের সাবেক বিশাসে ফিরে আসার মধ্যে দিয়ে এখনও তারা শয়তানের উদ্দেশ্যকে পরাজিত করতে পারবে । তিনি সত্য ও ধামিকতার পক্ষে তার দঢ় অবস্পান গহণ করলেন ; আর তিনি ৫ য বান্তী বহন করছিলেন তার পতি তার সবোৌচ্চ বিশাস ও আশ্লা, যাদের ? বশাস ব্যথ হয়েছিল, তাদেরত্রাণকতার পতি আনগত্যে ফিরে আসতে সাহায্য করেছিল। AABen 316.3
করিন্য়ি মণ্ডলীর পতি পৌলের চিঠি লেখার ধরণ ও গালাতীয়দের পতি তিনি যে পথ অন্সরণ করেছিলেন তার মধ্যে কত পাথক্য! পথমটার জন্য তিনি সাবধানতা ও কোমলতা সহকারে তিরস্গার করেছিলেন, পরেরটার জন্য তিনি মক্তকণ্ঠে তৎসনা করেন। করিন্িয়েরা প লোভনের কাছে পরাজিত হয়েছিল। শিক্ষকেরা সত্যের ছদ্মবেশে ভল তথ্য উপস্শাপন করেছিল, তাদের বিচক্ষণতা ও কটতকে পতারিত হয়ে তারা বিভ্রা্ণ ও হতভম হয়ে পড়ে ছল। সত্য থেকে মিথ্যা চিহিত করতে সাবধানতা ও ধৈষের পয়োজন ছিল। পৌল যাদের সাহায্য করতে আকাঙ্খা করেছিলেন , কঠোর ও বিবেচনাহীন দণ্ততা, তাদের ওপর থেকে তার পভাব নষ্ট হয়ে যাবার আশঙ্কা ছিল| AABen 317.1
`গালাতীয় মগ্ডলীগুলোতে, পকাশ্যে, স্রূপে মিথ্যা, সসমাচারের বাত্তাকে উচেছদ করে তার সান দখল করে নিয়েছিল। যিহদীদের সেকেলে আনষ্ঠানিকতা দিয়ে বিশাসের আসল ভিত্তি, খাঁষ্টকে, কাযতঃ আনষ্ঠানিক ভাবে পরিত্যগ করা হয়েছিল। পেরিত দেখেছিলেন যে, যে বিপজ্জনক পভাবগুলোতাদের শঙ্কিত করছিল তা থেকে যদি গালাতীয় বিশাসীদের উদ্ধার করতে হয় তবে তাদের কাছে কঠোরতম সতকবাণী দেবার মত চড়ান্ ব্যবস্শা নেওয়া পয়োজন। AABen 317.2
খাষ্টের পত্যেক সেবকদের জন্য একটা গুরুতপণ শিক্ষা এই যে, তারা যাদর উপকার করতে চায় তাদের অবস্পা অন্যায়ী নিজেদের পরিশমকে মানিয় নিতে শিখতে হবে । কোমলতা, ধেষ, সিদ্ধান্ত, এবং দঢ়ুতা সমভাবে পুযাজ্য; কিন এগুলো পকত পাথক্য বিবেচনা করে পয়োগ করতে হবে। AABen 317.3
বিভিন পারিপাশিক পরিবেশ ও অবশ্পর মধ্যে বিভিন শেণীর মন মনসিকতার সঙ্গে বদ্ধিপবক কাজ করতে ঈশরের আআ ছারা পবিত্রীকত ও আলেকিত জ্ঞান ও বিচারবদ্ধির পয়োজন। গালাতীয় বিশাসীদের কাছে তার চিঠিতে পৌল সংক্ষেপে তার নিজের মনপ্প্রবত্তন ও পথম খাষ্টিয় জীবনের সঙ্গে জড়িত পধান পধান ঘটনার পনরুলেখ করেন। এইভাবে তিনি দেখাবার চেষ্টা করলেন যে, একটা বিশেষ এশরিক শক্তি পকাশের মাধ্যমে তিনি সসমাচারের মহাসত্যগুলোকে দেখতে ও উপলব্ধি করে আকড়িয়ে ধরতে পরিচালিত হয়েছেন। ঈশরের নিজের কাছ থেকে নিদেশনা পেয়ে পৌল গালাতীয়দের কাছে এত গাশীযপণ ও সঠিক উপায়ে সতক করতে ও ভৎসনাপণ উপদেশ দিতে পরিচালিত হয়েছিলন। ইতস্তঃ করে ও সন্দেহ করে নয়, কিন বিশাসের স্নিশ্চয়তা ও সঠিক তথ্য জেনে তিনি লিখেছেন। তিনি মানষের দ্বারা শিক্ষা পাওয়া ও AABen 318.1
সরাসরি খাষ্টের কাছ থেকে শিক্ষা পাওয়ার মধ্যে পাথক্য দেখিয়ে পরিষ্গার খসড়া তৈরী করে দিয়েছিলেন। যে সব মিথ্যা পরিচালকদের দ্বারা তারা বিপথে পরালিত হয়েছিল তাদের পরিত্যাগ করে, এশরিক অনমোদনের অন্রান্ পমানসহ বিশাসে ফিরে আসত পৌল গালাতীয়দের অনরোধ করেন। যে সব লোকেরা তাদের সসমাচারের ওপর তাদের বিশাস থেকে সরিয়ে নেবার চেষ্টা করেছিল তারা অপবিত্র ও জীবনে দনীতিপরায়ণ ছিল। তাদের ধম আনষ্ঠানিকতার চতদিকে আবতিত ছিল, আর এই অনষ্ঠানের ভেতর দিয়ে তারা ঈশরের অনগহ লাভ করার আশা করেছিল। “নতন জনা না হইলে কেহ ঈশরের রজ্য দেখিতে পায় না। যোহন ৩:৩ পদ, এই বাক্যের পতি বাধ্যতা দাবী করা সসমাচারের পতি তাদের কোন বাসনা ছিল না। তারা মনে করত এইরকম ধমততের ওপর ভিত্তি করে কোন ধম পালন করতে অনেক ত্যাগ স্পী কার করা পয়োজন, তাই তারা তাদের ভলগুলোআকড়ে ধরে নিজেরা পতাররত হত আর অন্যদেরও পতারিত করত। AABen 318.2
অন্রের ও জীবনের পবিত্রতার জন্য বাইরের কোন ধম পদ্ধতি অপরিবতিত স্ভাববিশিষ্টদের কাছে এখনও যেমন সখকর, এই সব যিহদী শিক্ষকদের সময়ও তেমনই ছিল। আগে যেমন ছিল এখনও তেমনই কতগুলো ভণ্ড আধ্যাতিক পরিচালক আছে , যাদের ধমতত অনেকে আগহের সঙ্গে শোনে। এটা খাষ্টের মাধ্যমে পরিত্রণের আশা ও ঈশরের আজ্ঞার পতি বাধ্যতার থেকে মন অন্যদিকে সরিয়ে নেয়া শয়তানের উদ্বাবিত পচেষ্টা। পত্যেক যগে পধন শত্র শয়তান যাদের পতারিত করবার জন্য খজছে, তাদের কসংস্গার ও ঝোকের দিকে সে তার পলোভন উপযোগী করে তোল। পৈরিতিক যগে খাষ্টকে অগাহ্য করে আনষ্ঠানিক বিধিকেউচ্চে তলে ধরার জন্য সে যিহদীদের পরিচালিত করেছিল; বন্তমানে সে খাষ্টকে সম্মান পদশনের নামে ভান করে খা্টান হিসাবে দাবীদার অনেককে নৈতিক বিধির পতি অবজ্ঞা পদশন ও এত বণিত নীতিমালা লঙ্ঘন ক্ষমার যোগ্য অপরাধ বলে শিক্ষা দিতে পরোচিত করে। ঈশরের পত্যেক দাসের কতব্য সিদ্ধান্দ দটুভাবে এই সব সত্য বিকতকারীদের পতিরোধ করা ও সত্যের বাক্য দ্বারা নিভয়ে তাদের ভল পকাশ করা । AABen 319.1
গালাতীয়ায় তার ভ্রাতগণের আম্মা পনরদ্ধার করতে তার পচেষ্টায়, পৌল খাষ্টের একজন পেরিত রূপে নিজের পদ ভালভাবে প্তষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন। তিনি নিজেকে এইভাবে পেরিতরূপে ঘোষণা দিয়েছেন, “মনব্যদের হইতে নয়, মনষ্যের দ্বারাও নয়, কন্ যাশু খাষ্টের দ্বারা, যিনি ম তগণের মধ্য হইতে উঠাইয়াছেন, ৫ সই পিতা ঈশরের ছারা নিযক্ত।” মানষের কাছ থেকে নয়, কিন্ স্গের সবোচ্চ ক্ষমতার কাছ থেকে তিনি তার পত্যাদেশ পেয়েছেন। AABen 319.2
আর তার এই পদ যিরূশালেমের সাধারণ সভা কত হয়োছল, আর সেই শীকতির বলে পৌল পরজাতীয়দের মধ্যে তার সমস কাজে একমত হয়েছিলেন। নিজের পশংসা করার জন্য নয়, কিন ঈশরের অনগহকে মহিমান্তি করবার জন্য, আর যারা তার পেরিততকে অস্কার করত তাদের কাছে পমান করবার জন্য পৌল নিজেকে এইভাবে করেন যে, “সেই পেরিত-চড়ামণিদের হইতে আমি একট ও পিছনে নহি।” AABen 320.1
২ করিন্টীয় ১১:৫ পদ। যারা তার আহ্বান ও কাজকে তচ্ছ করতে চেষ্টা করছিল, তারা খাষ্টের বিরুদ্ধে যদ্ধ করছিল, যার অনগহ ও পরাক্রম পৌলের ভেতর দিয়ে পকাশিত হচ্ছিল। তার শত্রদের বিরোধিতার কারণে পেরিত তার পদ ও ক্ষমতা বজায় রা খার জন্য স্রি সিদ্ধান্ গহণ করতে বাধ্য হন। AABen 320.2
একসময় যারা তাদের জীবনে ঈশরের শক্তিকে জানত তাদের সসম চারের সত্যের পথম পেমে ফিরে আসার জন্য পৌল অননয়-বিনয় করেন। অখপ্নায় ক্ত দিয়ে তিনি খাষ্টে নর নারী হবার সযোগের কথা তল ধরেন, যার পায়শ্চিত্তকারা অনগহ, যারা পণসমপিত হয় তারা তার ধামিকতার বন্ে আবত হয়। তিনি এই অবম্শান গহণ করেছিলেন যে পত্যেক আআ যে পরিত্রাণ পাবে তার অবশ্যই একটা খাটি, ঈশর বিষয়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। AABen 320.3
পেরিতের সনিবন্ধ অনরোধের কথাগুলো নিম্ছল হয়নি। পবিত্র আআ পবল শক্তিতে কাজ করেছিলেন আর অনেকে যাদের পা অজনা পথে ঘ্রে বেড়াচ্ছিল, তারা তাদের সাবেক সসমাচারেরবশাসে ফিরে এল। এর পরের থেকে তারা খা্টের ছারা করা স্াধাণতায় সদঢু হল। তাদের জীবনে আআর ফল, “পেম, অ নন্দ, শান্দি, দীঘসহিষ্ণতা, মাধয্য, মঙ্গলবাব, বিশস্তা, মদ তা, ইন্দিযদমন ” পকাশিত হতে দেখা গেল। ঈশরের নাম গৌরবান্তি হল, আর এ অঞ্চলের চারিদিকের অনেকে বিশাসীদর সংখ্যার সঙ্গে যক্ত হল। AABen 320.4