মণ্ডলীর জন্য উপদেশ

31/327

আপনার তালন্ত চাহিদা মিটায়

ঈশ্বরের মহান্ পরিকল্পনায় প্রত্যেকেরই জন্য স্থান আছে। যে তালন্তের প্রয়োজন নাই, তাহা তিনি দেন না। ধরুন, যেন তালন্তটী ক্ষুদ্র। কিন্তু ইহার জন্য ঈশ্বরের একটী স্থান আছে, আর ঐ একটী তালন্ত বিশ্বস্তভাবে ব্যবহার করিলে, ঈশ্বর যাহা করিতে চাহেন, ইহা দ্বারা তাহাই সাধিত হইবে। গৃহে-গৃহে গিয়া কার্য্যার্থে পর্ণ কুটির বাসীর তালন্তের প্রয়োজন। কারণ উৎকৃষ্ট বরের দ্বারা যাহা করা যায়, এতদ্দ্বারা তদপেক্ষা অধিকতর কিছু করা যাইবে।4 CCh 122.2

মানবগণ যখন ঈশ্বরের চালনানুযায়ী তাহাদের শক্তি ব্যবহার করে, তখন তাহাদের তালন্ত বৃদ্ধি পায় ও দক্ষতা সম্প্রসারিত হয়। আর হারাণদিগের রক্ষাকল্পে অন্বেষণ-কার্য্যে তাহারা স্বর্গীয়জ্ঞান লাভ করে। অন্যকে সত্য বিতরণ কার্য্যে মণ্ডলীর সভ্যগণ যদি তাহাদের ঈশ্বর- দত্ত দায়িত্ব সম্বন্ধে উদাসীন ও অমনোযোগী হয়, তাহা হইলে তাহারা কি প্রকারে স্বর্গীয় ধন লাভ করিতে পারিবে? যাহারা অন্ধকারে আছে, তাহদিগকে সুসমাচারের জ্যোতিতে আনয়ন করিবার জন্য নামধারী খ্রীষ্টীয়ানগণের যখন দায়িত্ব বোধ না জন্মে, যখন তাহারা অন্যকে অনুগ্রহ ও জ্ঞান বিতরণে ক্ষান্ত হয়, তখন তাহাদের বিচারশক্তি কমিয়া যায়, তাহারা স্বর্গীয় ধনরাশির মূল্যাবধারণ করিতে পারে না; আর ইহার মূল্য নির্দ্ধারণ করিতে ন পারিয়া, অন্যকে সত্য দান করিবার আবশ্যকতা উপলব্ধি করিতে পারে না। CCh 123.1

ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বড় বড় মণ্ডলী দেখিতে পাওয়া যায়। ঐ সকল মণ্ডলীর সভ্যগণ, সত্যের তত্ত্বজ্ঞান লাভ করিয়াছে, আর ইহার মধ্যে অনেকে জীবনে বাক্য শুনিয়াই তৃপ্ত থাকে, কিন্তু অন্যকে সত্যের জ্যোতি দান করিবার চেষ্টা করে না। কার্য্যের উন্নতির বিষয়ে তাহারা অল্পই দায়িত্ব অনুভব করে। আত্মার পরিত্রাণ সম্বন্ধে তাহারা অল্পই উৎসুক। জাগতিক বিষয়ে তাহারা উদ্যোগে পূর্ণ, কিন্তু ধর্ম্মকে তাহারা তাহাদের ব্যবসায়ের মধ্যে নিতে চাহে না। তাহারা বলে “ধর্ম্ম তো ধর্ম্মই, এবং ব্যবসায় তো ব্যবসায়ই।” তাহারা বিশ্বাস করে যে, ইহাদের প্রত্যেকটীর যথোপযুক্ত স্থান আছে, কিন্তু তাহারা বলে, “উহারা পৃথক্ই থাক।” CCh 123.2

সুযোগ-সুবিধার অপব্যবহার ও তুচ্ছ-তাচ্ছিলের নিমিত্তে এই সকল মণ্ডলীর সভ্য “আমাদের প্রভু ও ত্রাণকর্ত্তা যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ ও জ্ঞানে বর্দ্ধিষ্ণু” হইতেছে না। আর এই জন্যই তাহারা বিশ্বসে দুর্ব্বল, জ্ঞানে অসম্পূর্ণ ও অভিজ্ঞতায় শিশুবৎ থাকিয়া যাইতেছে। তাহারা সত্যে বদ্ধমূল ও সুপ্রতিষ্ঠত নহে। এইরূপে কাল কাটাইলে, শেষকালের বহুবিধ প্রতারণায় তাহাদের প্রতারিত হইতে হইবে, ইহাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই; কারণ ভ্রান্তি হইতে সত্য চিনিয়া লইবার আধ্যাত্মিক দৃষ্টিশক্তি তাহাদের আদৌ থাকিবে না।5 CCh 124.1