মণ্ডলীর জন্য উপদেশ

100/327

খ্রীষ্টকে স্বীকার কিংবা অস্বীকার করা

সমাজের ও পরিবারের মধ্যে মিশিয়া, কিংবা ক্ষণস্থায়ী হউক, কি দীর্ঘস্থায়ী হউক, জীবনের দে কোন অবস্থায় পড়িয়া, নানা উপায়ে আমরা প্রভুকে স্বীকার করিতে এবং নানা উপায়ে তাঁহাকে অস্বীকার করিতে পারি । অন্যের কুৎসা গাহিয়া, মূর্খের ন্যায় কথা বলিয়া, ঠাট্টা তামাসা করিয়া, অনর্থক কিংবা নির্ম্মম বাক্য বলিয়া, অথবা সত্য এড়াইয়া চলিয়া বা সত্যের বিরুদ্ধে কথা বলিয়া আমরা তাঁহাকে অস্বীকার করিতে পারি । আমাদের কথা দ্বারা আমরা স্বীকার করিতে পারি যে, খ্রীষ্ট আমাদের মধ্যে নাই । আরাম পছন্দ করিয়া, স্বীয় কর্ত্তব্য পালন না করিয়া, জীবনের যে সকল বোঝা আমাদেরই বহন করা উচিত, তাহা বহন না করিয়া অন্যের উপরে সেই বোঝা চাপাইয়া দিয়া এবং পাপময় আমোদ-প্রমোদ ভালবাসিয়া আমরা আমাদের স্বভাব দ্বারা তাঁহাকে অস্বীকার করিতে পারি । পোষাক পরিচ্ছেদের জাঁকের দ্বারা ও জগতের অনুরূপে চলিয়া অথবা লোকের সহিত অশিষ্ট ব্যবহার করিয়াও আমরা খ্রীষ্টকে অস্বীকার করিতে পারি । নিজের মতামত ভালবাসিয়া ও নিজেকে ঠিক্ বলিয়া প্রতিপন্ন করিতে চেষ্টা করিয়া আমরা তাঁহাকে অস্বীকার করিতে পারি । মনের মধ্যে প্রণয়-পীড়িত হইয়া বা কামার্ত্ত চিন্তা পোষণ করিয়া এবং অনুমিত দূরদৃষ্ট ও দুঃখক্লেশের বিষয় উদ্বিগ্ন থাকিয়াও আমরা তাঁহাকে অস্বীকার করিতে পারি। CCh 266.1

খ্রীষ্টের মন ও আত্মা যদি কাহারও মধ্যে না থাকে, তবে সে প্রকৃতপক্ষে খ্রীষ্টকে স্বীকার করিতে পারে না । যাহা আমাদের নাই, তাহা অন্যকে প্রদান করা অসম্ভব । আমাদের ভিতরে যে অনুগ্রহ ও ও সত্য আছে, তাহার বাস্তব এবং দৃশ্যতঃ প্রকাশ দেখা যাইবে, কথাবার্ত্তায় ও আচার ব্যবহারে । হৃদয় পবিত্রীকৃত, বশীভূত ও নম্র হইলে প্রত্যক্ষ ফল দৃষ্ট হইবে এবং এতদ্বারা খ্রীষ্টকে সর্ব্বাপেক্ষা উপযুক্তরূপে স্বীকার করা হইবে ।10 CCh 266.2