সুষম শিক্ষা

28/67

বিশ্বাসে বপন

বৃদ্ধিলাভের বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে যে অগণ্য শিক্ষালাভের বিষয় রয়েছে তার মধ্যে একটি শিক্ষা-বীজ অঙ্কুরিত হওন সম্পর্কীত ত্রাণকর্তার দৃষ্টান্তটি খুবই মূল্যবান। এতে বৃদ্ধ এবং যুবক-যুবতিদের জন্যও শিক্ষা রয়েছে। EdBen 95.1

“ঈশ্বরের রাজ্য এইরূপ। কোন ব্যক্তি যেন ভূমিতে বীজ বুনে; পরে রাত দিন নিদ্রা যায় ও উঠে, ইতােমধ্যে ঐ বীজ অঙ্কুরিত হইয়া বাড়িয়া উঠে, কিরূপে তাহা বাড়িয়া উঠে তাহা সে জানে না। ভূমি আপনা আপনি ফল উৎপন্ন করে; প্রথমে অঙ্কুর, পরে শীষ, তাহার পর শীষের মধ্যে পূর্ণ শস্য।” মার্ক ৪:২৬-২৮ EdBen 95.2

বীজ অঙ্কুরিত হওয়ার নিজস্ব একটি নীতি রয়েছে, একটি নীতি যা স্বয়ং ঈশ্বরই তার মধ্যে স্থাপন করেছেন; তথাপি বীজ এমনি রেখে দিলে তা আপন শক্তিতে অঙ্কুরিত হবে না। শস্য উৎপাদনে মানুষের করণীয় কাজ রয়েছে; কিন্তু একটি বিষয় রয়েছে যার বাইরে সে কিছুই সম্পন্ন করতে পারে না। তাকে এমন এক ব্যক্তির উপরে নির্ভর করতে হবে যিনি বুনতে এবং শস্য কাটতে তার নিজস্ব অসীম শক্তির চমৎকার শিকল দিয়ে সংযুক্ত করেছেন। EdBen 95.3

বীজের মধ্যে জীবন আছে, মাটির মধ্যে শক্তি আছে; কিন্তু যদি দিন। রাত সেই অসীম শক্তি কার্যহীন থাকে তবে বীজ আমাদের কিছুই দিতে পারবে না। বৃষ্টি তৃষ্ণার্ত জমিকে সিক্ত ও জীবন্ত করে, সূর্য উষ্ণতা দান করে, রােপীত বীজের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবে। যে জীবন সৃষ্টিকর্তা রােপণ করেছেন, একমাত্র তিনিই তা আনয়ন করতে পারেন। প্রতিটি বীজ ঈশ্বরের শক্তির মাধ্যমে বেড়ে ওঠে। EdBen 95.4

“বীজ ঈশ্বরের বাক্য।” “বস্তুত, ভূমি যেমন আপন অঙ্কুর নির্গত করে, উদ্যান যেমন আপনার মধ্যে উপ্ত বীজ অঙ্কুরিত করে, তেমনি প্রভু সদাপ্রভু সমুদয় জাতির সাক্ষাতে ধার্মিকতা ও প্রশংসা অঙ্কুরিত করিবেন।” লুক ৮:১১; যিশাইয় ৬১:১১। প্রকৃতিতে যেমন, ঠিক তেমনি আত্মিক। বপনেও; যে শক্তি থেকে জীবন সৃষ্টি হয় তা ঈশ্বর হতে আসে। EdBen 95.5

বীজ বাপকের কাজ একটি বিশ্বাসের কাজ। সে বীজের অঙ্কুরােদগম এবং বৃদ্ধির গূঢ় রহস্য বুঝতে পারে না; কিন্তু প্রতিনিধিত্বে তার প্রত্যাশা রয়েছে যা দিয়ে ঈশ্বর গাছপালার বৃদ্ধি এবং ফলােৎপাদন ঘটান। সে বীজ বপন করে এবং প্রচুর শস্য কাটার প্রত্যাশা রাখে। এভাবে বাবা-মা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও পরিশ্রম করতে হবে এই প্রতাশায় যে, তারা যে বীজ বুনবেন, তা থেকে তারা শস্য কাটতে পারবেন। EdBen 96.1

একবার হয়ত অন্তঃকরণের উত্তম বীজটির প্রতি আমাদের দৃষ্টি পড়ে না, কোন প্রমাণও দেখা যায় না যে, তা শিকড় বসিয়েছে; কিন্তু পরে যখন ঈশ্বরের আত্মা ঐ ব্যক্তির হৃদয়ে সঞ্চারণ করেন, তখন লুকানাে বীজ গজিয়ে ওঠে এবং পরে তা ফল উৎপাদন করে। আমাদের জীবনব্যাপী কাজের মধ্যে আমরা বুঝতে পারি না কোনটি শ্রীবৃদ্ধি লাভ করবে, এটি নাকি ওটি। এই প্রশ্নের মিমাংসা আমাদের করার কথা নয়। “তুমি প্রাতঃকালে আপন বীজ বপন কর এবং সায়ংকালেও হস্ত নিবৃত্ত করিও না।” উপদেশক ১১:৬। ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ নীতি এই কথা ঘােষণা করে যে, “যাবৎ পৃথিবী থাকিবে, তাবৎ শস্য বপনের ও শস্য ছেদনের সময়....নিবৃত্তি হইবে না ।” আদিপুস্তক ৮:২২। এই প্রতিজ্ঞার উপরে প্রত্যাশা রেখে কৃষক জমি চাষ করেন এবং বীজ বনে থাকেন। যখন আমরা আতিক বীজ বুনি, এম করি, আর আমরা তার নিশ্চয়তায় নির্ভর করি: তখন আমরাও কম প্রত্যাশি নই। “আমার মুখনির্গত বাক্য তেমনি হইবে; তাহা নিষ্ফল হইয়া আমার কাছে ফিরিয়া আসিবে না, কিন্তু আমি যাহা ইচ্ছা, তাহা সম্পন্ন করিবে, এবং যে জন্য তাহা প্রেরণ করি সেই বিষয়ে সিদ্ধার্থ হইবে। “যে ব্যক্তি রােদন করিতে করিতে বপনীয় বীজ লইয়া বাহিরে যায়, সে আনন্দগান-সহ আপন। আটি লইয়া আসিবেই আসিবে।” যিশাইয় ৫৫:১১; গীতসংহিতা ১২৬:৬। EdBen 96.2

বীজ অঙ্কুরিত হওয়া, আত্মিক জীবনের সূচনার প্রতীক, এবং চারা গাছের বেড়ে ওঠা চরিত্রের সমৃদ্ধির প্রতীক- যেখানে ক্রমবৃদ্ধি নেই, সেখানে জীবনও নেই। চারাগাছ হয় বাড়বে, নতুবা মরে যাবে। এটা নীরবে বাড়ে যা দেখা যায় না, কিন্তু তা অবিরত বাড়ছে, চরিত্রের শ্রীবৃদ্ধিও ঠিক একই ধরণের । আমাদের জীবনের ক্রমবৃদ্ধির প্রতিটি ধাপ পূর্ণাঙ্গ এবং নিখুঁত হতে পারে; তবুও যদি আমাদের জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ হয়, তাহলে এক, বিরামহীন অগ্রগতি দেখা যাবে। EdBen 96.3

চারা গাছের জীবন ধারণের জন্য ঈশ্বর যা কিছু দিয়েছেন, তার মাধ্যমেই তা বেড়ে উঠবে। এভাবে স্বর্গীয় পরিচালনার সঙ্গে সহযােগিতার মাধ্যমে আত্মিক বৃদ্ধি লাভ হয়ে থাকে। চারাগাছ যেমন মাটিতে শিকড় বসায়, তেমনি আমাদের খ্রীষ্টে শিকড় গড়তে হবে। চারা গাছটি যেমন সূর্যের আলাে, শিশির, এবং বৃষ্টি গ্রহণ করে, তেমনি আমাদেরকেও পবিত্র আত্মা প্রাপ্ত হতে হবে। যদি আমাদের অন্তঃকরণ খ্রীষ্টেতে থাকে তবে তিনি “আমাদের নিকটে বৃষ্টির ন্যায় আসিবেন, পৃথিবীতে প্রথম বর্ষা এবং শেষ বর্ষার ন্যায় আসিবেন। আমাদের উপরে ধার্মিকতার সূর্যের ন্যায় উদিত হবেন তার পক্ষপুট আরগ্য দায়ক”। “ভূমি-সেচনকারী শেষ বর্ষার ন্যায় আসিবেন।” আমরা “শােশন পুষ্পের ন্যায় ফুটিব।” আমরা “শস্যবৎ সঞ্জীবিত হইব, দ্রাক্ষলতার ন্যায় ফুটিব।” হােশেয় ৬:৩, মালাখি ৪:২; হােশেয় ১৪: ৫,৭। EdBen 97.1

গম উৎপন্ন হয়, “প্রথমে অঙ্কুর, পরে শীষ, তাহার পর শীষের মধ্যে পূর্ণ শস্য।” মার্ক ৪: ২৮। কৃষক বীজ বােনেন এবং চারা গাছ পালন করেন, যেন তিনি শস্য উৎপন্ন করতে, ক্ষুধার্ত ব্যক্তির জন্য খাদ্যের সংস্থান করতে এবং ভবিষ্যতের জন্য বীজ সংগ্রহ করতে পারেন। এভাবে স্বর্গীয় কৃষক একটি শস্য সংগ্রহের অপেক্ষা করছেন। তিনি তাঁর অনুসারীদের অন্তরে, এবং জীবনে নিজের অবিকল প্রতিরূপ উৎপাদন করতে আশা করেন, যেন তাদের মাধ্যমে তিনি অন্যদের অন্তরে এবং জীবনে পুনরুৎপাদিত হতে পারেন। EdBen 97.2

শিশুদের শিক্ষা দেয়ার কাজে, বীজ থেকে চারাগাছের ক্রমঃবৃদ্ধি, একটি শিক্ষার বিষয়বস্তু। “প্রথমে অঙ্কুর, পরে শীষ, তাহার পর শীষের মধ্যে পূর্ণ শস্য।” মার্ক ৪:২৮। যিনি এই দৃষ্টান্তটি স্থাপন করেছেন, তিনি ক্ষুদ্র বীজ সৃষ্টি করেছেন, তার মধ্যে জৈব উপাদানগুলাে দিয়েছেন এবং তার ক্রমঃবৃদ্ধির নিয়ন্ত্রণকারী নিয়মগুলাে সৃষ্টি করেছেন। আর দৃষ্টান্ত দ্বারা যে সব সত্য শিক্ষা দেয়া হয়েছিল সে সব তার নিজের জীবনে বাস্তবে রূপ। দিয়েছিল। তিনি, স্বর্গের মহামহিম, প্রতাপের রাজা, বৈৎলেহেমে একটি শিশু হলেন, এবং কিছু কালের জন্য তার মায়ের তত্ত্বাবধানে একজন অবুঝ ছােট শিশু ছিলেন। শিশুকালে তিনি একজন ছােট শিশুর মতই কথা বলতেন। এবং আচরণ করতেন, তার বাবা-মাকে সম্মান করতেন, এবং তাদের ইচ্ছামত চলতেন এবং তাদের সাহায্য করতেন। তথাপি জ্ঞানে ও বয়সে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি অবিরত অনুগ্রহে এবং সত্যের জ্ঞানেও বড় হচ্ছিলেন। EdBen 97.3

বাবা-মা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও এভাবে লক্ষ রাখতে হবে যেন তারা বাগানের চারা গাছের মত যৌবনের উন্নতি সাধন করেন যেন জীবনের প্রতিটি ধাপে তারা স্বাভাবিকভাবে সময়ােপযােগী মাধুর্য প্রকাশ করেন । EdBen 98.1

ছােটদের শিশুসুলভ সরলতায় শিক্ষা দিতে হবে। তাদের শিক্ষা দিতে হবে যেন তারা ছােট-খাট, উপকারী কাজে, তাদের বয়সানুক্রমিক আমােদ-প্রমােদ এবং অভিজ্ঞতায় সন্তুষ্ট থাকে। দৃষ্টান্তে শৈশব অঙ্কুরের সাদৃশ্য এবং তার নিজস্ব একটি সৌন্দর্য রয়েছে। শিশুদের বাধ্যতামূলক ভাবে উঁচড়ে পাকা করা উচিত হবে না, কিন্তু যতদূর সম্ভব তাদের প্রাথমিক বছরগুলাে সজীবতা এবং মাধুর্য ধরে রাখতে হবে। শিশুর জীবন যত শান্ত, সরল হবে- সে তত অধিক কৃত্রিম আবেগ থেকে মুক্ত থাকবে, এবং প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চলতে পারবে- দৈহিক, মানসিক প্রাণশক্তি, এবং আত্মিক মুক্তির প্রতি আরও অনুকলা হবে। EdBen 98.2

পাঁচ হাজার লােককে খাওয়ানাের অলৌকিক কাজের মাধ্যমে ত্রাণকর্তার শস্য উৎপাদনে ঈশ্বরীয় ক্ষমতাকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যীশু প্রকৃতি জগতের পর্দা সরিয়ে ফেলেন এবং সৃজনকারী শক্তি উন্মােচন করেন যা অবিরত আমাদের মঙ্গলার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে। জমিতে রােপিত বীজ বহুগুণে বাড়িয়ে তিনি প্রতিদিন একটি অলৌকিক কাজ করছেন। তিনি এক অলৌকিক উপায়ে পৃথিবীর শস্য ক্ষেত থেকে অবিরত লােকদের জন্য খাবার যােগান। মানুষকে শস্যের যত্ন এবং জাগতিক খাদ্য প্রস্তুতির জন্য তাঁর সঙ্গে সহযােগিতা করার জন্য আহবান করা হয়েছে, আর এই জন্য তারা ঐশ্বরিক পরিচালনার প্রতি দৃষ্টিপাত করতে পারছেন না। তার শক্তির কাজ প্রকৃতির কারণে অথবা মানুষের ব্যবহারের কারণে প্রায়ই স্বার্থপর ব্যবহারে বিকৃত করা হয় এবং আশীর্বাদের পরিবর্তে একটি অভিশাপে। পরিণত হয়। ঈশ্বর এ সবের পরিবর্তন করার চেষ্টা করছেন। তিনি আশা করেন যেন আমাদের নিষ্প্রভ অনুভূতি সমূহ প্রাণবন্ত হয়, যেন তার অনুগ্রহপূর্ণ দয়া দেখতে পাই, যেন তাঁর দান সমূহ আশীর্বাদ স্বরূপ হয় যা ছিল তার অভিপ্রায়। EdBen 98.3

এটি ঈশ্বরের বাক্য, তাঁর জীবনের করণীয় অংশ, যা বীজকে জীবন। দান করে; এবং ঐ জীবন হতে আমরা শস্য গ্রহণ করে অংশীদার হচ্ছি। ঈশ্বর চান যেন আমরা তা উপলব্ধি করি; তিনি আশা করেন যেন আমরা দৈনন্দিন খাবার গ্রহণ করে তার প্রতিনিধিত্ব মেনে নিতে পারি এবং তার সঙ্গে ঘনিষ্ট সহভাগিতা লাভ করতে পারি EdBen 99.1

প্রকৃতিতে ঈশ্বরের নিয়ম দ্বারা, যে প্রভাব দেখা যায়, তা অভিন্নরূপ নিশ্চয়তা প্রদান করে। শস্য কাটার কাজ, বীজ বােনার সাক্ষ্য বহন করে। এ স্থানে কোন ছলনা বর্দাস্ত করা হয় না। মানুষ তাদের সহমানবের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারে এবং যা করে নি তার জন্য প্রশংসা ও ক্ষতিপূরণ পেতে পারে; কিন্তু প্রকৃতিতে কোন প্রতারণা নেই। অবিশ্বস্ত কৃষকের উপরে শস্য সংগ্রহের দোষারােপ এবং নিন্দা ঘােষণা করে। উন্নতমানের চিন্তা * ধারায় আত্মিক ক্ষেত্রেও তা সত্য। দৃশ্যত, মনে হতে পারে কিন্তু মূলত, মন্দতা কতকার্যতা লাভ করে না। যে বালক বিদ্যালয় থেকে পালিয়ে যায়, যে যুবক তার লেখা পড়ায় অলস, যে কেরানি অথবা শিক্ষানবীশ তার। নিয়ােগকারীর কাজে ব্যর্থ হয়, যে ব্যক্তি কোন ব্যবসায় বা পেশায় তার উচ্চতর দায়িত্ব পালনে অবিশ্বস্ত, সে মিষ্টি কথায় নিজেকে ভুলায়, মিথ্যা লুকিয়ে রেখে সে একটি সুবিধা লাভ করছে। কিন্তু তা নয়; সে নিজেকেই ঠকাচ্ছে, জীবনের ফসল চরিত্র, আর তা-ই ইহকালের জন্য এবং পরকালের জন্য লক্ষ্য স্থির করে। EdBen 99.2

সংগৃহীত ফসলই উপ্ত বীজের একটি পুনরুৎপাদন। প্রত্যেক বীজ স্ব স্ব জাতি অনুযায়ী ফল উৎপন্ন করে। সুতরাং ইহা আমাদের চরিত্রের গুণাবলী যা আমরা ধারণ করে থাকি। স্বার্থপরতা, আত্মপ্রেম, আত্ম-সম্মান, ভােগ-পরায়ণতা ঐ সব আপনা আপনিই পুনর্জন্ম লাভ করে এবং যার পরিণাম চরম দুর্দশা এবং ধ্বংস। ফলতঃ আপন মাংসের উদ্দেশ্যে যে বুনে, সে মাংস হতে ক্ষয়রূপ শস্য পাবে; কিন্তু আত্মার উদ্দেশে যে বুনে, সে আত্মা হইতে অনন্ত জীবনরূপ শস্য পাইবে।” গালাতীয় ৬:৮। প্রেম, সহানুভূতি এবং দয়া আশীর্বাদের ফসল উৎপন্ন করে, সে ফসল অক্ষয়। EdBen 99.3

শস্য ঘরে তােলার মাধ্যমে বীজ বহু গুণে বাড়ে। বার বার শস্য বােনার মাধ্যমে একটি গমের বীজ পরিমাণে বাড়ে যা পুরাে জমিকে আবৃত করে এবং আমরা সোনালী ফসল ফিরে পাই। একইভাবে একটি জীবনের প্রভাবও ব্যাপক, এমন কি একটি কাজের প্রভাব একই রকম। খ্রীষ্টকে অভিষেক করণার্থে সুগন্ধি আতরের কৌটা খােলার স্মৃতি সুদীর্ঘ শতাব্দি ধরে প্রেমের কেমনই-না কাজ স্মরণ করিয়ে দিয়েছে! ত্রাণকর্তার কাজে অজ্ঞাত নামা এক দরিদ্র বিধবার অবদান, “দুইটি ক্ষুদ্র মুদ্রা” কত অগণিত উপহারই নিয়ে এসেছে! (মার্ক ১২:৪২)। EdBen 99.4