মহা বিবাদ

7/44

৪র্থ অধ্যায় - খৃষ্টের প্রথম আগমন

তারপরে আমি নীত হই সময় ধরে সেই ক্ষণে যখন যীশু আপনার ওপরে মানবের প্রকৃতি ধারণ করেন, আপনাকে এক মানবের ন্যায় অবনত করেন, ও শয়তানের প্রলোভন গুলি বরদাস্ত করেন। GCBen 14.1

তাঁর জন্ম ছিল জাগতিক আড়ম্বরহীন। তিনি এক পশুশালায় জন্মান, এক যাবপাত্রে শায়িত হন তথাপি তাঁর জন্ম মনুষ্যদের কোনো সন্তানদের কারো চেয়ে অনেক অধিক ভাবে মর্যাদাপূর্ণ হয়। স্বর্গ থেকে দূতগণেরা মেষপালকদের কাছে যীশুর জন্ম প্রকাশ করেন, যখন ঈশ্বর হতে আলোক ও মহিমা তাঁদের সাক্ষ্যের সঙ্গে থাকে। স্বর্গীয় বাহিনী তাদের বীণা স্পর্শ করেন ও ঈশ্বরের গৌরব করেন। মুক্তির কার্য সম্পাদন করতে এক পতিত জগতে ঈশ্বরের পুত্রের আগমন আর তাঁর মৃত্যুর দ্বারা মনুষ্যের প্রতি শান্তি, সুখ ও চিরস্থায়ী জীবন আনয়ন, তারা আনন্দ প্রকাশের সঙ্গে ঘোষণা করেন। ঈশ্বর তার পুত্রের আগমন সম্মানিত করেন। দূতগণ তাঁর আরাধনা করেন। GCBen 14.2

স্বর্গের দূতগণ তাঁর অবগাহনের দৃশ্যের ওপরে ঘোরাফেরা করেন, আর পবিত্র আত্মা এক কপোতের আকারের অবরোহণ করেন, ও তার ওপরে অবতরণ করেন, আর লোকেরা যেমন ভীষণভাবে বিস্মিত হয়ে, তাঁর ওপরে তাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করে দাঁড়িয়ে থাকে, এই বলে স্বর্গ থেকে পিতার কণ্ঠস্বর শোনা যায়, তুমি আমার প্ৰিয় পুত্ৰ, তোমাতেই আমি প্রীত। GCBen 14.3

যোহন নিশ্চিত ছিলেন না যে তিনি ছিলেন ত্রাণকর্তা যিনি তার দ্বারা অবগাহিত হতে আসেন। তবে ঈশ্বর তাকে এক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যা দ্বারা তিনি ঈশ্বরের মেষ শাবককে চিনবেন। চিহ্নটি দেয়া হয় যেমন স্বৰ্গীয় কপোতটি যীশুর ওপরে স্থিতি করে, এবং তার চতুর্দিকে ঈশ্বরের মহিমা প্রকাশিত হয়। যোহন তার হাত বাড়িয়ে দিয়ে যীশুর প্রতি নির্দেশ করেন আর এক উচ্চ কণ্ঠে ঘোষণা করেন, এই দেখ ঈশ্বরের মেষ শাবক যিনি জগতের পাপভার নিয়ে যান। GCBen 14.4

যোহন তাঁর শিষ্যদেরকে জ্ঞাত করেন যে যীশু ছিলেন প্রতিজ্ঞাত মসীহ, জগতের ত্রাণকর্তা। যেমন তার কার্য শেষ হচ্ছিল, যীশুর ওপরে নির্ভর করতে ও তাঁকে মহান শিশু গুরু রূপে অনুসরণ করতে তিনি তাঁর শিষ্যদেরকে শেখান। যোহনের জীবন ছিল আমোদ-আনন্দহীন। তা ছিল দুঃখপূর্ণ ও আত্মত্যাগের। তিনি খৃষ্টের প্রথম আগমন ঘোষণা করেন, আর তদপশ্চাৎ চিহ্ন কার্যগুলি স্বচক্ষে দেখতে ও তার দ্বারা প্রকাশ করা ক্ষমতার আনন্দ অনুভব করতে অনুমতি পান নি। তিনি জানতেন যে যীশু যখন একজন শিক্ষক রূপে আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন তাকে অবশ্যই মরতে হবে। প্রান্তরে ছাড়া তার কণ্ঠ কদাচিৎ শোনা যেত। তার জীবন ছিল নিঃসঙ্গ। তাদের সংসৰ্গ উপভোগ করতে পিতার পরিবারের প্রতি তিনি দৃঢ়-সংলগ্ন ছিলেন না, কিন্তু তার উদ্দেশ্য পূর্ণ করার অভিপ্রায়ে তাদেরকে ত্যাগ করেন। অদ্ভুত, অসাধারণ ভাববাদীর বাক্যসমুহ শুনতে অপার জনতা কর্মময় নগর ও গ্রামগুলির ছাড়ে, ও প্রান্তরে একত্রিত হয়। যোহন বৃক্ষের মূলে কুঠার বসান। পরিণাম সমুহে ভয়শূন্য হয়ে তিনি পাপ ভৎসনা করেন, ও ঈশ্বরের মেষশাবকের জন্যে পথ প্রস্তুত করেন। GCBen 14.5

হেরোদ অভিভূত হয় যেমন সে যোহনের প্রগাঢ়, প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য সমূহ শ্রবণ করে। তার শিষ্য হতে কি করতে হবে গভীর মনোযোগের সঙ্গে সে জানতে চায়। যোহন এ বিষয়ে অবগত ছিলেন যে সে তার ভ্রাতার স্ত্রীকে বিয়ে করতে উদ্যত ছিল, যখন তার স্বামী তখনো জীবিত ছিল, আর বিশ্বস্ত ভাবে হেরোদকে বলেন যে তা বিধিসঙ্গত ছিল না। হেরোদ কোনো স্বাৰ্থত্যাগ করতে ইচ্ছুক ছিল না। সে তার ভ্রাতার স্ত্রীকে বিবাহ করে ও তার প্রভাবের মাধ্যমে, যোহনকে গ্রেফতার করে ও তাকে কারাগারে রাখে। তবে হেরোদ তাকে আবার ছেড়ে দেবার অভিপ্রায় করে। সেখানে আবদ্ধ থাকা কালে যোহন, তার শিষ্যদের মাধ্যমে যীশুর পরাক্রমী কার্যসমূহের বিষয় শোনেন। তিনি অনুগ্রহশীল বাক্যসমূহ শুনতে পারেন নি। তবে তাঁরা যা শুনেছিলেন দ্বারা তার শিষ্যরা তাকে জ্ঞাত করেন ও সান্ত্বনা দেন। শীঘ্রই হেরোদের স্ত্রীর প্রভাবের মাধ্যমে যোহনের শিরশ্ছেদ হয়। আমি দেখি যে নগণ্যতম শিষ্য যে যীশুর অনুগামী হয়, তার আশ্চর্য কার্যসমূহ স্বচক্ষে দেখে, ও তার ওষ্ঠদ্বয় থেকে পতিত শান্তনাময় বাক্যসমূহ শ্রবণ করে, সে যোহন অবগাহকের চেয়ে মহানতর ছিল। তা হচ্ছে, তারা ছিল অধিকতর মর্যাদাপ্রাপ্ত, সম্মানিত ও তাদের জীবনে অধিকতর আনন্দ ছিল। GCBen 14.6

যীশুর প্রথম আগমন ঘোষণা করতে যোহন এলিয়ের আত্মা ও ক্ষমতায় আসেন। আমি নির্দেশিত হই সময় ধরে শেষের দিনগুলিতে, আর দেখি যোহনকে প্রতিনিধিত্ব করতে সেই লোকদের যারা রোষের দিন, ও যীশুর দ্বিতীয় আগমন ঘোষণা করতে, এলিয়ের আত্মা ও ক্ষমতায় এগিয়ে যাবে। GCBen 14.7

জর্ডনে যীশুর অবগাহনের পরে দিয়াবলের দ্বারা প্ৰলোভিত পরিক্ষিত হতে, আত্মার দ্বারা চালিত হয়ে তিনি প্রান্তরে যান। প্রচন্ড পরীক্ষা-সমূহের সেই বিশেষ ঘটনার জন্য পবিত্র আত্মা তাকে উপযুক্ত করেছিলেন। চল্লিশ দিন তিনি দিয়াবলের দ্বারা পরীক্ষিত হন, আর ঐ দিনগুলিতে তিনি কিছুই আহার করেন নি। যীশুর চারিপাশে প্রতিটি বিষয় ছিল বিরক্তি জনক, যা থেকে মানবপ্রকৃতি (ভয়াদিতে) সরে আসতে চালিত হবে। তিনি বন্য পশুদের আর দিয়াবলের সঙ্গে এক মরুভূমি সম নির্জন স্থানে ছিলেন। আমি দেখি ঈশ্বরের পুত্র উপবাস ও মানসিক দুর্দশার মাধ্যমে পাণ্ডুর ও দুর্বল ছিলেন। কিন্তু তার কার্যধারা চিহ্নিত হয়েছিল, আর তার করতে আসা কাজ তাকে অবশ্যই পূর্ণ করতে হবে। GCBen 14.8

শয়তান ঈশ্বরের পুত্রের কষ্টভোগের সুযোগ নেয়, আর বহুবিধ পরীক্ষায় তাঁকে বেষ্টিত করতে প্রস্তুত হয়ে, আশা করে যে তার ওপরে জয়লাভ করবে, কারণ এক মনুষ্য রূপে তিনি আপনাকে অবনত করেছিলেন। শয়তান এই পরীক্ষাটি নিয়ে আসে, তুমি যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, আদেশ কর যাতে এই প্রস্তরটি রুটি হয়ে যায়। তার কাছে অবনত হতে, এবং তাঁর ঐরিক ক্ষমতা প্রয়োগ করার দ্বারা তাঁর মশীহ হবার প্রমাণ দিতে সে যীশুকে প্ৰলোভিত করে। যীশু মৃদুভাবে তাকে উত্তর দেন, এরূপ লেখা আছে, মনুষ্য কেবল রুটিতে নয় কিন্তু ঈশ্বরের মুখ নির্গত প্রতিটি বাক্যের দ্বারা বাঁচবে। GCBen 14.9

তাঁর ঈশ্বরের পুত্র হবার সম্পর্কে শয়তান যীশুর সঙ্গে এক বিতর্ক খুঁজছিল। সে তার দুর্বল, দুর্দশাপূর্ণ অবস্থার প্রতি উল্লেখ করে ও গর্বের সঙ্গে দৃঢ়রূপে বলে সে যীশুর চেয়ে অধিকতর সক্ষম ছিল। কিন্তু স্বৰ্গ হতে বলা বাক্য, তুমি আমার প্ৰিয় পুত্ৰ, তোমাতেই আমি প্ৰীত, তাঁর সকল দূর্দশাভোগের মধ্য দিয়ে যীশুকে ধরে রাখতে যথেষ্ট ছিল। আমি দেখি যে তাঁর সমস্ত জীবনোদ্দেশ্যে তাঁর ক্ষমতার, ও তার জগতের ত্রাণকর্তা হবার বিষয়ে শয়তানের বিশ্বাস অর্জন করতে, তার কিছুই করার ছিল না। তার উন্নত পদ ও কর্তৃত্বের বিষয়ে শয়তানের যথেষ্ট প্রমাণ ছিল। যীশুর কর্তৃত্বের প্রতি আত্মসমর্পণ করতে তার অনিচ্ছা তাকে স্বর্গ থেকে বহির্ভূত রাখে। GCBen 15.1

শয়তান তার শক্তি প্রকাশ করতে যীশুকে যিরূশালেমে বহন করে, ও তাঁকে মন্দিরের এক চুড়ায় স্থাপন করে, পূনরায় তাঁকে। প্ৰলোভিত করে যে, আর যদি তিনি ঈশ্বরের পুত্র হন, যে স্থানে তিনি সে তাকে স্থাপন করেছিল সেই হতবুদ্ধি করা উচ্চতা থেকে আপনাকে নীচে নিক্ষেপ করার দ্বারা তার কাছে তার প্রমাণ দিন। শয়তান প্রত্যাদেশের বাক্যসমূহ নিয়ে উপনীত হয়। কারণ লেখা আছে, তিনি আপন দূতগণকে তোমার বিষয়ে আজ্ঞা দিবেন, তাহারা তোমাকে হস্তে করিয়া লইবেন, পাছে তোমার চরণে প্রস্তরের আঘাত লাগে। যীশু উত্তর দিয়ে তাকে বলেন, বলা হয়েছে, আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর পরীক্ষা করিও না। শয়তানের ইচ্ছে ছিল যীশুকে তার পিতার করুণার ওপরে স্পর্দ্ধা করানো ও তার উদ্দেশ্য পূৰ্ণ হবার পূর্বে তাঁর জীবনের ঝুঁকি নেওয়া ঘটানো। সে আশা করেছিল যে পরিত্রাণের পরিকল্পনা বিফল হবে, কিন্তু আমি দেখি যে শয়তানের দ্বারা এভাবে পরাজিত হবার ও বিকৃত হবার পর পরিকল্পনাটি খুবই গভীরভাবে স্থাপিত হয়। GCBen 15.2

আমি দেখি যে যখন প্রলোভিত হয়, কিম্বা তাদের অধিকার বিতর্কিত হয়, খৃষ্ট ছিলেন সকল খৃষ্টানের আদর্শ। তা তাদের ধৈর্যের সঙ্গে বহন করা উচিত। তাদের উপলব্ধি করা উচিত নয় যে তাঁর ক্ষমতা প্রদর্শন করতে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা তাদের অধিকার নেই। যাতে তাদের শত্রুদের ওপরে তারা এক বিজয় লাভ করতে পারে, যদি না কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য (অভিপ্ৰায়) না থাকে, যাতে তদ্বারা ঈশ্বর প্রত্যক্ষভাবে সম্মানিত ও গৌরাবান্বিত হতে পারেন। আমি দেখি যে, যদি যীশু চুড়া থেকে আপনাকে নিক্ষেপ করতেন, তা তার পিতাকে গৌরাবান্বিত করতো না কারণ শয়তান ও ঈশ্বরের দূতগণ কেউই কার্যটির সাক্ষী হতোনা। আর তা হতো তার সবচেয়ে ঘৃনাপূর্ণ শত্রুর উদ্দেশের ক্ষমতার প্রদর্শন করতে সদা প্রভুকে পরখ করা। তা হতো তার প্রতি অবনত হওয়া যীশু যাকে জয় করতে আসেন। GCBen 15.3

“আবার দিয়াবল তাহাকে অতি উচ্চ এক পৰ্ব্বতে লইয়া গেল, এবং জগতের সমস্ত রাজ্য ও সেই সকলের প্রতাপ দেখাইল, আর তাহাকে কহিল, তুমি যদি ভূমিষ্ট হইয়া আমাকে প্রণাম কর, এই সকলই আমি তোমাকে দিব। তখন যীশু তাহাকে কহিলেন, দূর হও, শয়তান, কেননা লেখা আছে, ‘তোমার ঈশ্বর প্রভুকেই প্রণাম করিবে। কেবল তাঁহারই আরাধনা করিবে।” GCBen 15.4

এখানে শয়তান যীশুকে জগতের রাজ্যসমূহ দেখায়। সেগুলিকে উপস্থাপন করা হয় সবচেয়ে আকর্ষণীয় দর্শনশত্তিতে (আলোকে)। সেগুলি সে যীশুকে দেবার প্রস্তাব দেয় যদি তিনি তথায় ভূমিষ্ট হয়ে তাকে প্রণাম করেন। সে যীশুকে বলে সে পৃথিবীর অধিকার সমূহের দাবি ছেড়ে দেবে। শয়তান জানে যে তার ক্ষমতা অবশ্যই সীমিত হবে, ও অবশেষে নিয়ে নেয়া হবে, যদি পরিত্রাণের পরিকল্পনা সম্পাদিত হয়। সে জানতো যে মনুষ্যকে উদ্ধার করতে যীশু যদি মরেন, এক বিশেষ সময়ের পরে তার ক্ষমতা শেষ হবে, আর সে বিনষ্ট হবে। তাই,যদি সম্ভব হয়, ঈশ্বরের পুত্রের দ্বারা যে মহান কার্য আরম্ভ হয়েছিল তার সমাপ্তি নিবারণ করা তার অভিপ্রেত পরিকল্পনা ছিল। যদি মানবের মুক্তির পরিকল্পনা বিফল হয়, সে সেই রাজ্যটি ধরে রাখবে যা সে তৎকালে দাবি করে। আর সে যদি সফল হয়, সে আপনাকে মিথ্যে আশায় সন্তুষ্ট করে যে সে স্বর্গের ঈশ্বরের বিপক্ষে রাজত্ব করবে। GCBen 15.5

শয়তান উল্লাসিত হয় যখন যীশু স্বর্গ ত্যাগ করেন, ও সেখানে তাঁর ক্ষমতা ও মহিমা পরিত্যাগ করেন। সে ভাবে যে ঈশ্বরের পুত্র তার প্রভাবের স্থাপিত হন। এদোনে পবিত্র দম্পতির ভেতরে প্রলোভন এত সহজে বিমোহিত করে, যে সে আশা করে যে তার পৈশাচিক ধূর্ততার ও ক্ষমতার দ্বারা এমন কি ঈশ্বরের পুত্রকে পরাজিত করবে, ও তদ্বারা তার জীবন ও রাজ্য রক্ষা করবে। তার পিতার ইচ্ছে থেকে বিচ্ছিন্ন হতে যীশুকে যদি সে প্রলুব্ধ করতে পারে, তাহলে তার অভিপ্রায় অর্জিত হবে। শয়তানকে তার পেছনে যেতে যীশু আদেশ দেন। তিনি শুধু তার পিতার প্রতি প্রণত হবেন। সময় আসছে যখন তার আপন প্রাণ দ্বারা তিনি শয়তানের অধিকার সমূহ উদ্ধার করবেন। আর এক নিৰ্দিষ্ট সময়ের পরে সকলে স্বর্গ ও মর্ত্যে তাঁর কাছে সমর্পণ করবে। পৃথিবীর রাজ্যসমূহ শয়তান তার বলে দাবি করে, আর সে যীশুর উদ্দেশে পরোক্ষ ঈঙ্গিত করে যে তার সমস্ত দুঃখকষ্ট ভোগ মুক্ত হতে পারে। এই জগতের রাজ্যগুলি লাভ করতে তার মরার প্রয়োজন নেই। কিন্তু তিনি পৃথিবীর সম্পূর্ণ অধিকার ও সেগুলির ওপরে রাজত্ব করার গৌরব পেতে পারেন, যদি তিনি তাকে ভূমিষ্ঠ হয়ে প্রণাম করেন। যীশু স্থির সংকল্প ছিলেন। তিনি তার দুঃখভোগের জীবন, তাঁর ভয়ানক মৃত্যু, ও তাঁর পিতার দ্বারা নির্ধারিত সেই উপায়ে, তা বেছে নেন, পৃথিবীর রাজ্য সমূহের নায্য উত্তরাধিকারী হতে, ও এক চিরস্থায়ী অধিকার রূপে তাঁর হস্তে সেগুলি প্রদত্ত হতে। মৃত্যুর দ্বারা বিনষ্ট হতে, যীশুকে, কিম্বা গৌরবে সাধু গনকে কখনো উতক্ত না করতে শয়তানকেও তার হস্তে প্রদান করা হবে। GCBen 15.6

______________________________________
দ্বিতীয় বিবরণ ৬:১৬(৮:৩( ২ রাজাবলি ১৭:৩৫, ৩৬(
গীতসংহিতা ৯১:১১, ১২(লূক ২-৪ অধ্যায় দেখুন।
GCBen 15.7