মণ্ডলীর জন্য উপদেশ
ভাববাদিগনের দ্বারা গঠিত মণ্ডলী
সত্যের বার্ত্তাবাহকগণের দ্বারা যে যে স্থানের লোক খ্রীষ্টধর্ম্মে দীক্ষিত হইবে, সেই সেই স্থানে মণ্ডলী গঠনের নমুনা-স্বরূপ যিরুশালেমে মণ্ডলী গঠিত হইয়াছিল । মণ্ডলীর সাধারণ তত্ত্বাবধানের ভার যাহাদের উপরে ন্যস্ত ছিল, তাহাদিগকে প্রভুর সম্পত্তির উপরে প্রভুত্ব করিতে দেওয়া হয় নাই, কিন্ত বিজ্ঞ মেষপালকের ন্যায় “পালের আদর্শ হইয়া ............ ঈশ্বরের যে পাল আছে, তাহা পালন করিতে ও পরিচারকদিগকে সুখ্যাতিপন্ন এবং আত্মায় ও বিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ হইতে বলা হইয়াছে “। এই লোকদিগকে এক যোগে ন্যায়ের পক্ষে থাকিতে এবং স্থিরসংকল্প হইয়া দৃঢ়তার সহিত ন্যায় রক্ষা করিতে উপদেশ দেওয়া হইছে । ইহা করিলে সমুদয় পালের উপরে তাহাদের সম্মিলিত প্রভাব দৃষ্ট হইবে ।4 CCh 205.1
নূতন খ্রীষ্টীয়ানগণের আধ্যাত্মিক শ্রীবৃদ্ধিকল্পে, প্রয়োজনীয় প্রনিনিধি হিসাবে, প্রেরিতগণ তাহাদিগকে সুসমাচার-বিধানের নিরাপত্তায় রাখিবার জন্য বিশেষ সতর্ক ছিলেন । বিশ্বাসিগণের আধ্যাত্মিক মঙ্গলের নিমিত্ত প্রতেক মণ্ডলীতে কার্য্যকরী নিয়োগ করিয়া মণ্ডলীতে সুধারা ও সুশৃঙ্খলা স্থাপন করা হইয়াছিল । CCh 205.2
খ্রীষ্টে বিশ্বাসিগণকে এক দেহে সংযুক্ত করিবার যে পরিকল্পনা সুসমাচারে রহিয়াছে, তাহার সহিত ইহার পূর্ণ সামঞ্জস্য ছিল ; আর প্রেরিত পৌল স্বীয় পরিচর্য্যার মধ্যদিয়া নিখুঁতরুপে এই পরিকল্পনা পালন করিয়া গিয়াছেন । তাঁহার পরিশ্রমের ফলে যাহারা যে কোন স্থানে খ্রীষ্টকে ত্রাণকর্তা বলিয়া গ্রহণ করিয়াছে, তিনি তাহাদের লইয়া জথা-সময়ে মণ্ডলী গঠন করিয়াছেন । এমন কি বিশ্বাসীর সংখ্যা অল্প হইলেও তিনি এইরূপ করিয়াছেন । “যেখানে দুই কি তিন জন আমার নামে একত্র হয়, সেই খানে আমি তাহাদের মধ্যে আছি,” এই প্রতিজ্ঞা স্মারণ করিয়া খ্রীষ্টীয়ানগণ পরস্পরকে সাহায্য করিতে শিক্ষা পাওয়াছিল ।5 CCh 205.3