মণ্ডলীর জন্য উপদেশ

59/327

১২শ অধ্যায়

পৃথিবীতে মন্ডলী

পৃথিবীতে ঈশ্বরের এক মন্ডলী আছে; ইহারা তাঁহার মনোনীত লোক ও তাঁহার আজ্ঞা পালনকারী। তিনি ইহাদিগকে চালাইতেছেন; ইহারা যুগভ্রষ্ট প্রশাখা নহে, এখানে একজন ও সেখানে একজন, এমন নহে। কিন্তু দল বদ্ধ লোক। সত্যের পবিত্রীকরণ শক্তি আছে; কিন্তু যুদ্ধরত মণ্ডলী বিজয়ী মণ্ডলী নহে। গমের মধ্যে শ্যামাঘাস আছে। দাসেরা জিজ্ঞাসা করিয়াছিল, “আপনি কি এমন ইচ্ছা করেন যে, আমরা গিয়া তাহা সংগ্রহ করি?” তদুত্তরে কর্ত্তা কহিলেন, “না, কি জানি শ্যামাঘাস সংগ্রহ করিবার সময়ে, তোমরা তাঁহার সহিত গোমও উপড়াইয়া ফেলিবে।” মথি ১৩ঃ২৮,২৯। সুসমাচাররূপ- জালে কেবল ভালো মাছই ধরা পড়ে না, মন্দ মাছও ধরা পড়ে, কিন্তু প্রভু জানেন কে কে তাঁহার। CCh 195.1

আমাদের প্রত্যেকের কর্ত্তব্য ঈশ্বরের সহিত নম্রভাবে গমনাগমন করা। আমাদের কোন অদ্ভুত কিংবা নূতন বার্ত্তার অনুসন্ধান করিতে হইবেনা। ঈশ্বর-মনোনীত যে লোকেরা জ্যোতিতে গমনাগমন করিতে চেষ্টা করিতেছেন, তাঁহাদের লইয়া বাবিল গঠিত এরূপ চিন্তা করা উচিত নহে।1 CCh 195.2

মন্ডলীর মধ্যে যদিও মন্দ দেখা যায় এবং যদিও ইহা জগতের শেষ পর্য্যন্ত থাকিবে, তথাপি এই শেষকালে পাপ-কলুষিত ভ্রষ্ট পৃথিবীতে মন্ডলী জগতের দীপ্তিরূপে বিরাজমান থাকিবে। মন্ডলী দুর্ব্বুল ও ত্রুটীযুক্ত, তিরস্কারের, চেতনা ও উপদেশ গ্রহনের পাত্র হইলেও পৃথিবীতে উহা একমাত্র বস্তু, যাহার উপরে খ্রীষ্ট সর্ব্বাপেক্ষা উচ্চ সম্মান আরোপ করিয়া থাকেন। জগৎ একটী কর্ম্মশালা, ইহার মধ্যে মানবীয় ও ঐশ্বরিক প্রতিনিধিগণের সহযোগিতায় খ্রীষ্ট স্বীয় অনুগ্রহ ও ঐশ্বরিক দয়া দ্বারা মানবান্তঃকরণে পরীক্ষামূলক কার্য্য করিতেছেন ।2 CCh 195.3

ঈশ্বরের এক স্বতন্ত্র প্রজাদল আছে, তাহা পৃথিবীর মণ্ডলী ; ইহা অদ্বিতীয়, কাহারও অপেক্ষা নূন্য নহে, কিন্তু সত্য সম্বন্ধে শিক্ষা দিবার ওঈশ্বরের ব্যবস্থা বজায় রাখিবার জন্য ইহা সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ । ঈশ্বর-নিযুক্তপ্রতিনিধিগণকে ঈশ্বরই পরিচালিত করিতেছেন—ইঁহারা দিনের উত্তাপ ওভার বহন করিয়াছেন, এবং জগতে খ্রীষ্টের রাজ্য বিস্তারের নিমিত্ত স্বর্গীয়দূতগণের সহিত সহযোগিতা রক্ষা করিতেছেন । যাঁহাদের পবিত্রগণের ধৈর্য্য আছে, যাঁহারা ঈশ্বরের আজ্ঞা ও যীশুর বিশ্বাস পালন করেন, অবশেষে তাঁহাদের মধ্যে আমাদিগকে যেন দেখিতে পাওয়া যায়, তন্নিমিত্ত আইসুন আমরা এই সকল প্রতিনিধিগণের সহিত সম্মিলিত হই ।3 CCh 196.1