মণ্ডলীর জন্য উপদেশ
মহা-সংগ্রাম সম্বন্ধে দর্শন
আমেরিকার পুর্ব্বাংশে এক গন্ডগ্রামে ক্ষুদ্র একটি স্কুল-গৃহ ছিল ; ১৮৫৮ খৃষ্টাব্দের মার্চ্চ মাসের মধ্যভাগে রবিবার অপরাহ্ণে সেই গৃহে এক সভা হয়। বহু নরনারী সভায় উপস্থিত হইয়া সভাগৃহখানি পূর্ণ করিলে এল্ডার হোয়াইট্ জনৈক যুবকের সমাধি উপলক্ষে মৃত্যু বিষয়ক এক বক্তৃতা দান করেন। বক্তৃতা শেষ হইলে মিসেস্ ই, জি, হোয়াইট্ শোকার্ত্তদিগের উদ্দেশে কয়েকটী সান্ত্বনার কথা বলিতে অনুপ্রাণিত হইলেন। দাঁড়াইয়া দুই এক মিনিট কথা বলার পরই তিনি থামিয়া গেলেন, তাহাতে লোকেরা তাঁহার পরবর্ত্তী কথাগুলি শুনিবার জন্য উৎসুক নয়নে তাঁহার দিকে চাহিয়া রহিল “গৌরব ঈশ্বরের” ! “গৌরব ঈশ্বরের” !! এই প্রশংসা-ধ্বনি তিনি যখন উচ্চৈস্বরে তিন বার উচ্চারণ করিলেন, তখন তাহারা কতকটা হতভম্ব হইয়া পরিয়াছিল। তিনি ঐরূপ করিয়া ছিলেন, কারণ তিনি দর্শন পাইয়া ছিলেন। CCh 17.1
এল্ডার হোয়াইট্ লোকদের জানাইয়া দিলেন যে, মিসেস্ হোয়াইট্ দর্শন পাইয়াছেন। তিনি লোকদের ইহাও জানাইয়া দিলেন যে, ১৭ বৎসর বয়স হইতেই তিনি দর্শন পাইতেছেন এবং দর্শনের সময় যদিও তাঁহার চক্ষু উন্মীলিত থাকে এবং মনে হয় যে, দূরের কোন জিনিষ তিনি মনোযোগ সহকারে সন্দর্শন করিতেছেন; তথাপি তিনি সম্পূর্ণ সংজ্ঞাহীন থাকেন এবং তাঁহার চতুর্দ্দিকে কি ঘটে না ঘটে, তাহার কিছুই তিনি জানেন না । তাঁহার এই অবস্থা সমর্থনার্থে এল্ডার হোয়াইট্ গননাপুস্তক ২৪ : ৪ ও ১৬ পদের উল্লেখ করেন। তথায় লিখিত আছে, “যে ঈশ্বরের বাক্য সকল শুনে, যে পরাৎপরের তত্ত্ব জানে, যে সর্ব্বশক্তিমানের দর্শন পায়, সে পাতিত ও উন্মীলিত চক্ষু হইয়া কহিতেছে।” CCh 17.2
এল্ডার হোয়াইট্ লোকদিগকে আরও জানাইলেন যে, মিসেস্ হোয়াইট্ যখন দর্শন পান, তখন তিনি শ্বাস করেন না। আর তিনি দানিয়েলের ১০ : ১৭ পদ খুলিয়া দর্শনে দানিয়েলের যেরূপ অবস্থা হইত, তাহা তাহাদের নিকট পাঠ করেন। তথায় লিখিত আছে, “আমার কিছু মাত্র বল নাই, আমার মধ্যে শ্বাস নাই।” তৎপরে এল্ডার হোয়াইট্ লোকদিগকে বলিলেন যে, আপনারা যদি এই বিষয়ে মিসেস্ হোয়াইটের পরীক্ষা করিতে চাহেন, তবে অগ্রসর হইয়া আসিয়া তাহাকে পরীক্ষা করিয়া দেখুন, দর্শনের সময়ে যথার্থই তাঁহার মধ্যে শ্বাস থাকে কি না। এইরূপে পরীক্ষা করিবার জন্য তিনি সর্ব্বদাই লোকদিগকে সুযোগ দিতেন এবং দর্শনের সময়ে কোন ডাক্তার মিসেস্ হোয়াইট্কে পরীক্ষা করিলে তিনি বড়ই সুখী হইতেন। CCh 17.3
লোকেরা নিকটে আসিয়া দেখিল মিসেস্ হোয়াইট্ শ্বাস করেন না, তথাপি তাঁহার হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিক এবং তাঁহার গণ্ডদেশের বর্ণও স্বাভাবিক। একখানা দর্পণ আনিয়া তাঁহার মুখের সন্নিকটে ধরা হইল, কিন্তু তাহাতেও কোন আদ্রতা দৃষ্ট হইল না। পরে তাহারা একটী মোমবাতি জ্বালিয়া তাঁহার নাসিকার ও মুখের সন্নিকটে ধরিল, কিন্তু বাতির শিখা একটুও এদিক ওদিক সঞ্চালিত না হইয়া একেবারে সোজা থাকিল। ইহাতে লোকেরা জানিতে পারিল যে, দর্শনের সময় তিনি যথার্থই শ্বাস করেন না। দর্শনে তাঁহার নিকট যাহা প্রকাশ করা হইতেছিল, কক্ষমধ্যে পাদচারনা করিয়া সংক্ষেপে উচ্চরবে তাহা জানাইতে জানাইতে তদীয় বাহুযুগল সুষ্ঠভাবে সঞ্চালিত হইতেছিল। দানিয়েলের মত প্রথমে তাঁহার বল ছিল না, কিন্তু পরে তাঁহার মধ্যে অসাধারণ বল সঞ্চারিত হইল। (দানিয়েল ১০ : ৭,৮,১৮,১৯ পদ দ্রষ্টব্য)। CCh 18.1
এই সময়ে মিসেস্ হোয়াইট্ দুই ঘণ্টা পর্য্যন্ত দর্শন পাইয়াছিলেন। এই দুই ঘণ্টার মধ্যে তিনি একবারও শ্বাস প্রশ্বাস করেন নাই। পরে দর্শন শেষ হইলে তিনি একটী দীর্ঘ প্রশ্বাস গ্রহন করেন, এবং প্রায় এক মিনিট বিরাম লইয়া পুনরায় শ্বাস গ্রহন করেন, পরে স্বাভাবিকরূপে নিশ্বাস প্রশ্বাস চলিতে থাকে। আর এই সময়ে তিনি তাঁহার পারিপার্শ্বিক অবস্থা বুঝিতে আরম্ভ করিয়া তাঁহার আশে পাশে কি হইতেছিল, তৎসম্বন্ধে সংজ্ঞা লাভ করেন। CCh 18.2
মিসেস্ মার্থা এমাডন নামক যে মহিলাটী মিসেস্ হোয়াইট্কে প্রায়ই দর্শন পাইতে দেখিয়াছেন, তিনি বলেন — CCh 19.1
“দর্শনের সময়ে তাঁহার চক্ষুদ্বয় উন্মীলিত থাকিত। তাঁহার মধ্যে শ্বাস থাকিত না; কিন্তু তিনি যাহা দর্শনে দেখিতেন, তাহা প্রকাশার্থে তাঁহার স্কন্ধদ্বয়, বাহুদ্বয়, ও হস্থদ্বয় সুষ্ঠ ভাবে সঞ্চালিত হইত। উক্ত বাহু-যুগল কিংবা হস্তদ্বয় সঞ্চালিত করা অন্য কাহারও পক্ষে সম্ভবপর ছিল না। তিনি প্রায়শঃ একটী করিয়া শব্দ উচ্চারণ করিতেন এবং কখন-কখন এমন বাক্য সকল উচ্চারণ করিতেন, যদ্দ্বারা তাঁহার পার্শ্ববর্ত্তী লোকেরা বুঝিতে পারিত যে, তিনি হয় পৃথিবী সম্বন্ধে দর্শন পাইতেছেন।” CCh 19.2
“দর্শনে তিনি “গৌরব” এই শব্দটী প্রথমে উচ্চারণ করিতেন; আর ইহা নিকটেই শুনা যাইত এবং পরে বাহ্যতঃ মনে হইত, যেন উহা বহু দূরে লয় পাইয়া গিয়াছে, কখন-কখন বারংবার এইরূপ হইত।” CCh 19.3
দর্শনের সময় যাহারা উপস্থিত থাকিত তাহাদের মধ্যে কোন প্রকার উত্তেজনা দেখা যাইত না; উহাতে ভয়েরও কোন কারণ ছিল না। এই দৃশ্যটী ছিল একটি গুরুগম্ভীর দৃশ্য !” CCh 19.4
“যখন দর্শন শেষ হইয়া যাইত এবং তিনি স্বর্গীয় জ্যোতির দৃশ্য হারাইয়া ফেলিতেন, তখন মনে হইত, যেন তিনি পুনরায় একবার পৃথিবীতে ফিরিয়া আসিতেছেন; আর তিনি একটী দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিয়া প্রথমে স্বাভাবিক শ্বাস গ্রহনের সময়ে উচ্চৈস্বরে বলিয়া উঠিতেন, ‘অন্ধকার’! পরে তিনি হীনবল হইয়া পড়িতেন।” CCh 19.5
স্কুল-গৃহে দুই ঘণ্টা পর্য্যন্ত মিসেস্ হোয়াইট্ যে দর্শন পাইয়াছিলেন, তৎসম্বন্ধে তিনি অবশেষে লিখিয়াছেন- CCh 19.6
“খ্রীষ্ট ও শয়তানের মধ্যে যুগযুগান্তর ব্যাপীয়া যে মহাসংগ্রাম চলিতেছে, তৎসম্বন্ধে দশ বৎসর পুর্ব্বে আমি দর্শনে যাহা দেখিয়াছিলাম, তাঁহার অধিকাংশই আমাকে পুনরায় দেখান হইয়াছে এবং উহা লিখিয়া রাখিতে বলা হইয়াছে।” CCh 19.7
দর্শনে তাঁহার মনে হইতেছিল, যেন দৃশ্যগুলি তাঁহার সম্মুখ দিয়া ঘটিয়া যাইতেছে, আর তিনি স্বচক্ষে তাহা নিরীক্ষণ করিতেছেন। প্রথমে মনে হইল, যেন তিনি স্বর্গে আছেন এবং লুসিফরের পাপ ও পতন দেখিতেছেন। পরে তিনি জগতের সৃষ্টি এবং এদন-গৃহে আমাদের আদি মাতাপিতাকে দেখিতে পাইলেন। তিনি তাহাদিগকে সর্পের প্রতারণায় প্রতারিত হইতে এবং তাঁহাদের উদ্যান-গৃহ হইতে বিতাড়িত হইতে দেখিলেন। বাইবেল-ইতিহাস তাঁহার সম্মুখ দিয়া দ্রুত চলিয়া গেল। ইস্রায়েল জাতির পিতৃকুলপতিগণের ও ভাববাদিগণের যে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়া যাইতে হইয়াছিল, তিনি তাহা দেখিতে পাইলেন। পরে তিনি আমাদের ত্রাণকর্ত্তা প্রভু যীশু খ্রীষ্টের জীবন ও মরণ, এবং স্বর্গারোহণ করিয়া আমাদের মহাযাজকরূপে তাঁহার পরিচর্য্যা কার্য্যও দেখিলেন। ইহার পরে তিনি শিষ্যদিগকে পৃথিবীর প্রান্ত পর্য্যন্ত যাইয়া সুসমাচার প্রচার করিতে দেখিলেন। পরে সত্বরই ধর্ম্মভ্রষ্টতা উপস্তিত হইল এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগ আসিয়া পড়িল। অতঃপর তিনি দর্শনে ধর্ম্মসংস্কার দেখিতে পাইলেন; সৎ নরনারিগণ আপনাদের জীবন বিপন্ন করিয়া সত্যের পক্ষে দণ্ডায়মান হইলেন। ১৮৮৮ খৃষ্টাব্দে স্বর্গে যে বিচার আরম্ভ হইয়াছে, তাহাও তিনি দেখিতে পাইলেন; অবশেষে আমাদের সময়ে এবং ইহার পরে যাহা যাহা ঘটিবে, সেই সকল এবং স্বর্গীয় মেঘরথে খ্রীষ্টের আগমন সন্দর্শন করিলেন। সহস্র বৎসরের এবং নূতন পৃথিবীর দৃশ্যও তিনি দেখিতে পাইলেন। CCh 20.1
মিসেস্ হোয়াইট্ দর্শনে যাহা কিছু দেখিয়া ছিলেন ও শুনিয়া ছিলেন, সেই সকল জ্বলন্ত-চিত্র সম্মুখে রাখিয়া গৃহে প্রত্যাবর্ত্তনের পর সেগুলি লিখিয়া রাখিলেন। প্রায় ছয় মাস পরে ২১৯ পৃষ্ঠার একখানি ক্ষুদ্র পুস্তক ছাপাখানা হইতে প্রকাশিত হইল; ইহার নাম দেওয়া হইল — খ্রীষ্ট ও তাঁহার দূতগণের সহিত শয়তান ও তাহার দূতগণের মহা সংগ্রাম। CCh 20.2
ক্ষুদ্র পুস্তকখানি সাদরে গৃহীত হইল, কারণ মন্দলীকে যে সকল অভিজ্ঞতার মধ্যদিয়া যাইতে হইবে, এই পুস্তকে তাহা সুস্পষ্টরূপে বর্ণিত আছে, আর ইহাতে শয়তানের পরিকল্পনা সমূহ ব্যক্ত করিয়া জগতের শেষ সংগ্রামে সে কি ভাবে মন্দলীকে ও জগতকে ভ্রষ্ট করিতে চেষ্টা করিবে, তাহাও প্রকাশিত হইয়াছে। স্বীয় প্রতিজ্ঞানুযায়ী শেষকালে ঈশ্বর ভাব্বানীর আত্মার সাহায্যে এ্যাডভেন্টিষ্টগণের নিকট কথা বলিতে ছিলেন, এজন্য তাঁহারা তাঁহার নিকটে কতই না কৃতজ্ঞ ছিলেন। CCh 21.1
আত্মিক বরের এই ক্ষুদ্র গ্রন্থে উক্ত মহা সংগ্রামের যে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হইয়াছে, পরে তাহা “আর্লি রাইটিংস” নামক পুস্তকের শেষার্দ্ধে পুনর্মুদ্রিত করা হইয়াছে এবং আজও তাহা ঐ পুস্তকে সন্নিবেশিত রহিয়াছে। CCh 21.2
কিন্তু মণ্ডলীর সভ্যসংখ্যা যতই বৃদ্ধি পাইতে এবং সময় যতই অতিবাহিত হইয়া যাইতে লাগিল, প্রভু পর পর বহু দর্শন দ্বারা উক্ত মহাসংগ্রামের ইতিহাস ততই অধিকতর বিস্তৃতভাবে প্রকাশ করিতে লাগিলেন; আর মিসেস্ হোয়াইট্ ১৮৭০-১৮৮৪ খৃষ্টাব্দের মধ্যে উক্ত দর্শনগুলি চারি খানি গ্রন্থে লিখিয়া সেগুলির নাম “ভাবভানীর আত্মা” রাখিলেন। এই সকল গ্রন্থ হইতে উক্ত মহাসংগ্রামের সার সার বিষয় সমূহ উদ্ধৃত করিয়া “মুক্তি-কাহিনী” নামক গ্রন্থ খানি প্রণয়ন করা হইয়াছে। উক্ত গ্রন্থ নানা ভাষায় প্রকাশিত হওয়ায় দর্শনে মহাসংগ্রামের যে তথ্য প্রকাশ করা হইয়াছিল, বহুলোকেই তাহা জানিতে — পারিতেছে। পরে মিসেস্ হোয়াইট্ “কন্ফ্লিক্ট্ অব্ দি এজেজ” (Conflict of the Ages Series) নামক আরও পাঁচখানি গ্রন্থে - -Partiarchs and Prophets, Prophets and Kings, The Desire of Ages, Acts of the Apostles and Great Controversy- পূর্ব্ব বর্ণিত মহাসংগ্রামের সমুদয় বৃত্তান্ত সবিস্তারে বর্ণনা করিয়াছেন। CCh 21.3
সৃষ্টিকাল হইতে আরম্ভ করিয়া খ্রীষ্টীয় যউগের মধ্যদিয়া শেষ কাল পর্য্যন্তের যে সকল বিবরণ বাইবেলে লিপিবদ্ধ আছে, সেই সকলের সহিত মিসেস্ হোয়াইটের গ্রন্থগুলির পূর্ণ সামঞ্জস্য রহিয়াছে; আর ঐ গুলি আমাদিগকে মহা জ্যোতি এবং উৎসাহ দান করিতেছে। এই গ্রন্থগুলিই আমাদিগকে সেভেন্থ-ডে এ্যাডভেন্টিষ্ট হইতে, “জ্যতির সন্তান” এবং “দিবসের সন্তান” হইতে সাহায্য করিতেছে। এই অভিজ্ঞতা হইতে আমরা নিম্নলিখিত বাক্যের পূর্ণতা সম্বন্ধে আশ্বস্ত হই যে, “নিশ্চয়ই প্রভু আপনার দাস ভাববাদিগণের নিকটে আপন গুঢ় মন্ত্রণা প্রকাশ না করিয়া কিছুই করেননা।” আমোষ ৩:৭। CCh 21.4
মহাসংগ্রামের কাহিনী লইয়া মিসেস্ হোয়াইট্ এই যে সকল গ্রন্থ লিখিয়াছেন, তদ্বিষয়ে তিনি কি ভাবে জ্যোতি প্রাপ্ত হইলেন, তাহা তিনি নিম্নলিখিত বাক্যে প্রকাশ করিয়াছেন। CCh 22.1
“ভাল ও মন্দের মধ্যে যুগযুগান্তর যাবৎ যে মহাসংগ্রাম চলিতেছে, পবিত্র আত্মার জ্যোতিতে লেখক তাহারই চিত্র এই সকল গ্রন্থে অঙ্কিত করিয়াছেন। বিভিন্ন যুগে খ্রিষ্টের বা জীবনের আদিকর্ত্তার ও পরিত্রাণের কারনের সহিত শয়তানের, মন্দের অধিপতির, পাপের আদিকর্ত্তার ও ঈশ্বরের পবিত্র ব্যবস্থা প্রথম লঙ্ঘঙ্কারীর যে মহাসংগ্রাম চলিতেছে বারংবার আমাকে তাহা দেখান হইয়াছে। CCh 22.2
“ঈশ্বরের বাক্যের মহাসত্যগুলির এবং অতীতের ও ভবিষ্যতের দৃশ্যাবলী, ঈশ্বরের আত্মা আমাকে জানিতে দিয়াছেন। এইরূপে আমার নিকট যাঁহা প্রকাশ করা হইয়াছে, তাহা অন্যকে জানাইয়া দিবার জন্য, অতীত কালের সংগ্রামের ইতিহাস মানসপটে অঙ্কিত করিয়া দিবার জন্য, বিশেষতঃ ভবিষ্যৎ-যুদ্ধ যে অতি দ্রুত নিকটবর্ত্তী হইতেছে, তাহা লোক-দিগকে অবগত করাইবার জন্য, আমাকে আদেশ দেওয়া হইয়াছে।” CCh 22.3