মণ্ডলীর জন্য উপদেশ
২৪ অধ্যায়
প্রার্থনা-সভা
প্রার্থনা-সভার জন সমাগম সর্ব্বাপেক্ষা চিত্তাকর্ষক হওয়া বাঞ্ছনীয় ; কিন্তু দুখের বিষয়, ইহার পরিচালনা অনেক সময়েই অতি নগণ্য ভাবে করা হইয়া থাকে । অনেকে প্রচার-সভায় যোগদান করে, কিন্তু প্রার্থনা-সভায় অবহেলা করে । এই বিষয় পুনঃ চিন্তা করিয়া দেখা আবশ্যক । প্রার্থনা-সভাগুলি যেন চিত্তাকর্ষক ও ভাবোদ্দীপক হয়, তজজন্য পরিকল্পনার ও ঈশ্বর হইতে জ্ঞান লাভের প্রয়োজন । জীবন খাদ্যের জন্য লোকেরা ক্ষুধার্ত্ত । সুতরাং তাহারা যদি প্রার্থনা-সভায় ইহা পায়, তবে তাহারা তাহা গ্রহনার্থে তথায়ই যাইবে । CCh 304.1
দীর্ঘ নীরস বাক্য ও প্রার্থনা কোন স্থানেই সঙ্গত নহে ; বিশেষতঃ সামাজিক সভায় । যাহারা সাহসি ও সর্ব্বদা কথা বলিতে প্রস্তুত, তাহাদিগকে ভীত ও লজজাশীলদের মুখ-স্বরুপ হইয়া কথা বলিতে অনুমতি দেওয়া হয় । যাহাদের কথায় বেশি মুল্য নাই, সাধারণতঃ তাহারাই অধিক কথা বলিয়া থাকে । তাহাদের প্রার্থনা লম্বা ও কেবল অভ্যাসের বলে সাধিত । যে দূতগণ ও লোকবৃন্দ তাহাদের প্রার্থনা শুনিয়া থাকেন, তাঁহারা তাহাদের প্রার্থনায় ক্লান্ত হইয়া পড়েন । আমাদের প্রার্থনা ক্ষুদ্র ও বিষয়ানুরুপ হওয়া উচিত । যদি কেহ লম্বা ও বিরক্তিকর প্রার্থনা উৎসর্গ করিতে চাহে, তবে সে অন্তরাগারের জন্য তাহা রাখিয়া দিউক । আপনাদের হৃদয়ে ঈশ্বরের আত্মাকে বাস করিতে দিউন, তাহা হইলে ইহা সকল নীরস বাহ্যানুষ্ঠানকে বিতাড়িত করিয়া দিবে ।1 CCh 304.2