পিতৃকুলপতিগণ ও ভাববাদীগণ
মন্দকে বাধা দেবার জন্য ঈশ্বর সর্বদাই কাজে লিপ্ত
অত্যন্ত আনন্দের সাথে বিজয়ীরা ঘরের দিকে ফিরে চলল। চারশ’ জনের যারা অধিক উচ্ছৃঙ্খলা ছিল তারা দাবী তুলল যে যারা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে নি তারা লুটের মালের ভাগ পাবে না। কিন্তু দায়ূদ এ ধরণের কোন বন্দোবস্তের অনুমতি দিলেন না। তিনি বললেন, “হে আমার ভ্রাতৃগণ, সদাপ্রভু ..... আমাদিগকে যাহা দিলেন, তাহা লইয়া তোমরা এরূপ করিও না। ...... যে যুদ্ধে যায়, সে যেমন অংশ পাইবে, যে জিনিস পত্রের নিকট থাকে, সেও তদ্রূপ অংশ পাইবে; উভয়ের সামান অংশ লইবে।” PPBeng 504.2
দায়ুদ ও তার দল অমালেকীয়দের অনেক মেষ ও পশু ধরে নিয়ে এসেছিলেন। ঐ গুলিকে বলা হচ্ছিল “দায়ূদের লুটের মাল” আর সিক্লগে ফেরার পর তিনি তার নিজ বংশ যিহূদার প্রাচীনদের নিকট এগুলি হতে উপহার পাঠালেন। যখন তিনি ও তার সঙ্গীরা পর্বতের গুহায় বাস করত, আর যখন তাকে প্রাণ ভয়ে পালাতে হয়েছিল। তখন যারা তাদের সহিত বন্ধুত্ব স্থাপন করেছিল, তাদের প্রত্যেককেই উপহার পাঠানোর সময় স্মরণ করা হল । কাতারা দায়ূদ ও তার সাথীরা যখন তাদের ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘর তৈরী করছিলেন, তখন তারা ইস্রায়েল ও পলেষ্টীয়দের মধ্যে যুদ্ধের খবর সংগ্রহের চেষ্টায়ও রত ছিলেন। সহসা একজন সংবাদ দাতা শহরে প্রবেশ করল, “তাহার কাপড় ছেড়া ও মাথায় মাটি ছিল।” তাকে তৎক্ষণাৎ দায়ূদের নিকট আনা হল এবং সে তার সামনে এমন ভাবে কুর্নিশ করল যেন সে একজন খুবই ক্ষমতাবান রাজপুত্রের সামনে বিশেষ অনুগ্রহের প্রত্যাশা করছিল। পলাতক শৌলের পরাজয় ও মৃত্যুর খবরও দিল। কিন্তু সে সাধারণ ভাবে ঘটনা ব্যক্ত করার চেয়ে আরো অতিরিক্ত কিছু বলল। ভ্রমণকারী রাজার হত্যাকারীরূপে সম্মান লাভের প্রত্যাশা করল। সে গর্ব ভরে বল্ল যে সে ইস্রায়েলের রাজাকে আহত অবস্থায় পেয়েছিল, এবং তার অনুরোধেই সে হত্যা করেছিল। সে তার মাথার মুকুট ও সোনার বাজুবন্দ দায়ূদের জন্য নিয়ে এসেছিল। সে যে কাজ করেছিল তার জন্য সে নিশ্চিত ভাবেই কিছু উপহার আশা করছিল। PPBeng 504.3