শেষকালিন ঘটনাবলি
নদীনালা, পর্বতমালা এবং বৃক্ষরাজি
এখানে আমরা জীবন বৃক্ষ এবং ঈশ্বরের সিংহাসন দেখিতে পাইলাম । সিংহাসন হইতে বিশুদ্ধ জলের নদী প্রবাহিত হইতেছে এবং ইহার দুই পারে জীবন বৃক্ষ রহিয়াছে । নদীর একপারে বৃক্ষের একটি কান্ড এবং অপর পারে আর একটি কান্ড, উভয়ই নিখাঁদ স্বচ্ছ স্বর্ণ দ্বারা নির্ম্মিত। প্রথমে আমি মনে করিয়াছিলাম আমি দুইটি বৃক্ষ দেখিয়াছি I আমি পুনরায় দেখিলাম তাহারা উপরে মিলিত হইয়া একটি বৃক্ষ হইয়াছে। এই রূপে জীবন বৃক্ষ জীবন নদীর উভয় তীরে অবস্থিত। ইহার শাখা আমরা যে স্থানে দাঁড়াইয়াছিলাম সেই স্থান অবধি ইহার শাখা বিস্তৃত ছিল; এবং ফলগুলি উজ্জ্বল, স্বর্ণ এবং রৌপ্য মিশ্রিত মনে হইতেছিল। —EW17 (1851). LDEBeng 203.3
তথায় অবিরত প্রবাহিত স্ফটিকের ন্যায় স্বচ্ছ স্রোত রহিয়াছে, তাহাদের তীরে আন্দোলিত বৃক্ষরাজি, প্রভুর পণমুক্তদের নিমিত্ত নির্মিত পথের উপরে ছায়া ফেলে । বিস্তৃত সমতল ফুলিয়া সৌন্দর্য্য মন্ডিত পাহাড়ে পরিণত হইয়াছে। ঈশ্বরের পর্বতমালা তাহাদের অত্যুচ্চ চূড়া উন্নত করিয়া রাখিয়াছে। এই সকল শান্তিপূর্ণ সমতলে, এই সকল জীবন্ত স্রোতের তীরে, এযাব যাত্রীর এবং ভ্রমণকারী ঈশ্বরের লোকেরা গৃহ খুঁজিয়া পাইবে । GC675 (1911). LDEBeng 203.4