শেষকালিন ঘটনাবলি
ঈশ্বর খ্রীষ্টের আগমনের সময় ঘোষণা করেন
কাল, ঘন মেঘরাশি উঠিয়া পরষ্পরকে আঘাত করিল। বায়ুমন্ডল ভাগ হইয়া গুটাইয়া গেল। আমরা তখন যেথা হইতে ঈশ্বরের রব আসিতেছিল, সেই কালপুরুষ নক্ষত্রপুঞ্জের উম্মুক্ত মহাশূণ্য দিয়া উর্দ্ধদৃষ্টি করিলাম । EW 41(1851) LDEBeng 191.3
শীঘ্রই আমরা বহু জলরাশির ন্যায় ঈশ্বরের রব ১ শুনিতে পাইলাম, তাহা যীশুর আগমনের দিনক্ষণ প্রদান করিল। ১,৪৪,০০০ সংখ্যক জীবিত সাধুগণ সেই রব জানিতে এবং বুঝিতে পারিল, কিন্তু দুষ্টেরা মনে করিল ইহা মেঘগর্জন ও একটি ভূমিকম্প। EW 15(1851) LDEBeng 192.1
ঈশ্বর যখন যীশুর আগমনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন এবং তাহার লোকদের নিকট অনন্তকালস্থায়ী নিয়ম ব্যক্ত করেন, তিনি একটি বাক্য বলেন, যখন শব্দগুলি সমগ্র পৃথিবী ব্যাপীয়া আবর্তিত হইতেছিল, তখন তিনি থামেন। ঈশ্বরের ইস্রায়েল তাহাদের দৃষ্টি উর্দ্ধদিকে নিবদ্ধ করিল, এবং উচ্চ মেঘধ্বনির ন্যায় পৃথিবী ব্যাপীয়া আবর্তিত যিহোবার মুখ নির্গত বাক্য শুনিতে থাকিল। ইহা ভয়ানক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বাক্যের সমাপ্তিতে সাধুগণ চিকার করিয়া উঠিল, “প্রতাপ মহিমা! হাল্লিলূয়া।” ঈশ্বরের প্রতাপে তাহাদের মুখমন্ডল উজ্জ্বল হইয়া উঠিল, এবং সীনয় হইতে নামিয়া আসিলে পর মোশির মুখ গৌরবে সমুজ্জল ছিল, তাহাদেরও তদ্রূপ ছিল। মহিমার কারণে দুষ্টলোকেরা তাহাদের দিকে তাকাইতে সক্ষম ছিল না। এবং যখন অফুরন্ত আশীর্ব্বাদ, তাঁহার শাব্বাথ পরিত্ররূপে পালন করিয়া ঈশ্বরকে সম্মান প্রদানকারীগণের উপরে ঘোষিত হইল, তখন পশু এবং তাহার প্রতিমূর্তির উপরে অতি উচ্চ বিজয় ধ্বনি হইল । EW 285, 286 (1858). LDEBeng 192.2
ঈশ্বরের রবে কথিত সম্পর্কে আমার বিন্দুমাত্র জ্ঞান নাই। আমি সময় ঘোষিত হইতে শুনিয়াছি কিন্তু দর্শন শেষে সেই ক্ষণ সম্পর্কে আমার কোন কিছু স্মরণে নাই। এরূপ রোমঞ্চকর ও গুরুত্বপূর্ণ আকষর্ণীয় দৃশ্য আমার সম্মুখ দিয়া অতিক্রান্ত হইয়াছে যাহা ভাষা দ্বারা বর্ণনা করা যথেষ্ট নহে। ইহা আমার নিকট একটি জীবন্ত বাস্তবতা, কারণ এই দৃশ্যের শেষে প্রকান্ড সাদা মেঘ দেখা গেল, যাহার উপরে মনুষ্যপুত্র উপবিষ্ট ছিলেন। -1SM 76 (1888). LDEBeng 192.3