খ্রীষ্টীয় পরিচর্যা

22/273

আত্মসন্তুষ্ট শ্রেণী

আমার সামনে এমন একটি শ্রেণী উপস্থাপন করা হল, যারা সচেতন এইজন্য যে তারা উদার মনোভাবাপন্ন, ভক্তিনিষ্ঠ, এবং সৎকর্মের প্রতি অনুরক্ত; অথচ একই সময়ে তারা কিছুই করছে না। তারা আত্মসস্তুষ্ট অনুভূতির অধিকারী, মনে মনে তারা নিজেদের তোষামোদ করে ভাবে যে তারা যদি সুযোগ পেত, কিম্বা পরিস্থিতি যদি আরও অনুকূল হত, তবে তারা একটা দুর্দান্ত ভালো কাজ করত এবং করতে পারত; কিন্তু তারা সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন। তারা দরিদ্র ব্যয়কুণ্ঠের সংকীর্ণ মনকে পোষণ করে যারা অভাবীদের অল্প কিছু দিতেই ক্ষিপ্ত হয়। তারা দেখতে পায় যে সে নিজের জন্যই বাঁচে, তাই সে চাইবেনা অন্যের ভালো করতে, নিজের দক্ষতার প্রভাবকে অন্যের আশীর্বাদে কাজে লাগাতে এবং যা তাকে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে, তার অপব্যবহার নয়, জং ধরালে চলবে না, কিম্বা মাটি চাপা দিয়ে রাখলেও কৃপণতাপূর্ণ কাজের জন্য দায়বদ্ধ এবং প্রতিভার অপব্যবহারের জন দায়ী। কিন্তু অধিকতর দায়বদ্ধ তারা যাদের উদার প্রবণতা আছে এবং আত্মিক বিষয়গুলি উপলব্ধি করতে স্বভাবতই তৎপর, কারণ তারা যদি নিষ্ক্রিয় থাকে, যে সুযোগের অপেক্ষায় বসে থাকে যা আসবে বলে তাদের মতে হয় না, তথাপি কৃপণদের অনিচ্ছার সঙ্গে তাদের প্রস্তুতির বৈপরীত্যে প্রতিফলিত হয় যে তাদের হীনমন্য প্রতিবেশীর চেয়ে তাদের অবস্থা আরও অনুকূল। এমন ভাবনায় তারা নিজেদের প্রতারণা করে। যে গুণাবলি ব্যবহার করা হয় না নিছক অধিকারে রাখা হয়, তা কেবল দায়িত্বই বাড়িয়ে তোলে; এবং যদি তারা তাদের মালিকের তালন্ত কাজে না লাগায় কিম্বা লুকিয়ে রাখে, তবে তাদের অবস্থা তাদের প্রতিবেশীদের থেকে ভালো নয় যাদের প্রতি তাদের ঈদৃশ অবজ্ঞা অনুভূতি। উদ্দেশ্য ব্যক্ত হবে ঃ “তোমরা তোমাদের প্রভুর ইচ্ছা জানতে, তবে তা কর নাই।” -Testimonies for the Church 2:250, 251. ChSBen 40.3