মণ্ডলীর জন্য উপদেশ

120/327

পবিত্র আত্মা বর্ষণের পূর্ব্বে একতা আবশ্যক

বিশেষ লক্ষের বিষয় এই যে, শিষ্যগণের মধ্যে যখন পূর্ণ একতা দেখা দিল, যখন তাঁহারা শ্রেষ্ঠ পদ লাভের জন্য আর চেষ্টা করিলেন না, তখনি পবিত্র আত্মার বর্ষণ হইল । তাঁহারা সকলে এক চিত্ত ছিলেন । সকল বিবাদ দূর করিয়া দিয়াছিলেন । পবিত্র আত্মা দত্ত হইবার পর, তাঁহারা যে সাক্ষ্য দিয়াছিলেন, তাহা একইরুপ ছিল । বস্তুতঃ “যে বহুসংখ্যক লোক বিশ্বাস করিয়াছিল, তাঁহারা একচিত্ত ও একপ্রান ছিল ।” (প্রেরিত ৪:৩২) । পাপীরা যাহাতে বাঁচিয়া থাকিতে পারে, তজজন্য যিনি মৃত্যুভোগ করিয়াছিলেন, তাঁহারই আত্মা বিশ্বাসীগণের সমগ্র সমাজকে উজ্জীবিত করিয়াছিল । CCh 299.1

শিষ্যগণ নিজেদের জন্য কোন আশীর্ব্বাদ যাঞ্চা করেন নাই । তাঁহারা আত্মা লাভের জন্য ব্যাকুল হইয়াছিলেন, বলিয়া পবিত্র আত্মায় সিক্ত হইয়াছিলেন । পৃথিবীর প্রান্ত পর্য্যন্ত সুসমাচার লইয়া যাইতে হইবে বলিয়া তাঁহারা খ্রীষ্ট-প্রতিস্রুত-শক্তি পরিহিত হইবার জন্য দাবি করিতেছিলেন । তাহাতে পবিত্র আত্মা বর্ষিত হইইয়াছিল ও একদিনে সহস্র সহস্র লোকের মনপরিবর্ত্তন ঘটিয়াছিল । CCh 299.2

এখনও এইরুপ হইতে পারে । খ্রীষ্টীয়ানগণ সকল অনৈক্য দূর করিয়া দিউক এবং হারাণদিগের উদ্ধারকল্পে নিজেদিগকে ঈশ্বরের হস্তে সমর্পণ করুক । প্রতিজ্ঞাত আশীর্ব্বাদের নিমিত্ত তাহারা বিশ্বাস পূর্ব্বক প্রার্থনা করুক, তাহাতে তাহারা তাহা প্রাপ্ত হইবে । প্রেরিতগণের সময়ে পবিত্র আত্মার যে বর্ষণ হইয়াছিল, তাহাকে “অগ্রিম-বর্ষা” কহে, এবং ইহার ফল ছিল মহৎ । কিন্তু অন্তিম বর্ষা ইহা অপেক্ষাও অধিকতর প্রচুর হইবে । এই শেষকালে যাহারা বসবাস করিতেছে, তাহাদের নিকটে কী প্রতিজ্ঞা করা হইয়াছিল ? “হে আশার বন্দিগণ, তোমরা ফিরিয়া দৃঢ় দুর্গে আইস ; আমি অদ্যই অঙ্গীকার করিতেছি, আমি তোমাকে দ্বিগুণ অংশ দিব ।” “তোমরা শেষ বর্ষার সময়ে সদাপ্রভুর কাছে বৃষ্টি যাঞ্চা কর ; সদাপ্রভু বিদ্যুতের উৎপাদক । তিনি তোমাদিগকে প্রচুর বৃষ্টি দিবেন, প্রত্যেক জনের ক্ষেত্রে তৃণ দিবেন ।” (সখরিয় ৯:১২ ; ১০:১ )।2 CCh 299.3