মণ্ডলীর জন্য উপদেশ
সাক্ষ্যস্যমূহের অজ্ঞতা কোন ওজরই নহে
তাঁহার লোকদিগকে ঈশ্বর যে দীপ্তি প্রদান করিয়াছেন, অনেকেই তাহার সম্পূর্ণ বিপরীতে চলিতেছে, কারণ সতর্ক করিয়া, তিরস্কার করিয়া ও চেতনা দিয়া দীপ্তি ও জ্ঞান সম্বলিত যে সকল পুস্তক প্রকাশিত হইয়াছে, অনেকেই সেগুলি পাঠ করে না । ঈশ্বর অশেষ দয়াপরবশ হইয়া যে দীপ্তি দিয়াছেন, জগতের চিন্তারাশি, জাঁক প্রিয়তা ও ধর্ম্মের অভাব-বশতঃ তাহার প্রতি লোকদের মনোযোগ হ্রাস পাইয়াছে, কিন্ত ভ্রান্তি সম্বলিত পুস্তক ও পত্রিকাদি দেশের সর্ব্বত্র ছড়াইয়া পড়িয়াছে। অবিশ্বাস ও নাস্তিকতা সর্ব্বত্রই বৃদ্ধি পাইতেছে । ঈশ্বরের সিংহাসনে হইতে যে অমূল্য দীপ্তি আসিতেছে, তাহা কাঠার নীচে চাপা পরিতেছে । এই অবহেলার জন্য ঈশ্বর তাঁহার লোকদিগকে দায়ী করিবেন । আমাদের পথে কিরণ প্রদানার্থে ঈশ্বর দীপ্তির যে রশ্নি দিয়াছেন, ঐশ্বরিক বিষয়ে আমাদের অগ্রগতির নিমিত্ত ইহার উন্নতি করা হইয়াছে কিনা, অথবা ঝোঁকের অনুসরণ করা অধিকতর বাঞ্ছনীয় মনে করিয়া উহা অগ্রাহ্য করা হইয়াছে, এতদ্ সম্পর্কে প্রতিটী রশ্নির হিসাব আমাদের দিতে হইবে । CCh 275.1
প্রত্যেক শাব্বাথ-পালনকারী পরিবারের মধ্যেই সাক্ষ্যকলাপ প্রচলিত করা, ভ্রাতৃগণের এই সকলের মূল্য অবগত হওয়া এবং ঐগুলি পাঠ করিতে তাহাদিগকে উৎসাহিত করা উচিত । এই সকল পুস্তক সংখ্যায় খুব অল্প মুদ্রিত করিলে এবং প্রত্যেক মণ্ডলীতে কেবল এক প্রস্থ রাখিলে উহা সর্ব্বাপেক্ষা বুদ্ধির কার্য্য হইবে না। ঐগুলি প্রত্যেক পরিবারের পুস্ককাগারে রাখা এবং পুনঃ পুনঃ পাঠ করা আবশ্যক। এই সকল পুস্তক এমন স্থানে রাখিতে হইবে, যেন অনেকেই সেগুলি পড়িতে পারে।7 CCh 275.2
আমাকে দেখান হইয়াছে যে, চেতনার, উৎসাহের ও তিরস্কারের সাক্ষ্যসমূহে অবিশ্বাস, ঈশ্বরের লোকদের হইতে দীপ্তির পথ রুদ্ধ করিয়া রাখিতেছে । অবিশ্বাসে তাহাদের নয়ন এরূপ ভাবে অন্ধ হইয়া যাইতেছে যে, তাহারা তাহাদের প্রকৃত অবস্থা দেখিতে পাইতেছে না । তাহারা মনে করে, ঈশ্বরের আত্মা তিরস্কার পূর্ব্বক যে সাক্ষ্য দান করেন, তাহা অপ্রাসঙ্গিক কিংবা উহা তাহাদের জন্য নহে । কিন্ত এইরূপ লোকেরা যেন তাহাদের আধ্যাত্মিক জ্ঞানের অভাব সম্বন্ধে সম্যকরূপে জানিতে পারে, তজজন্য তাহাদের ঈশ্বরের অনুগ্রহের ও আধ্যাত্মিক বিচক্ষণটার প্রয়োজন সর্ব্বাপেক্ষা অধিক। CCh 276.1
সাক্ষ্যকলাপে বিশ্বাস করে না, এই কারণেই অনেকে সত্য হইতে স্থলিত হইয়াছে বলিয়া উল্লেখ করে । এক্ষণে জিজ্ঞাসা এই ; — ঈশ্বর যে দেবতাকে দোষী করেন, তাহারা কি তাহা ত্যাগ করিবে, কিংবা তাহারা কি অমিতাচারের উচ্ছৃঙ্খল পথে ক্রমাগত চলিতে থাকিবে এবং তাহারা যে সকল বিষয়ে আমোদ পায় সেই সকল বিষয়ে ভৎসনা করিয়া ঈশ্বর যে দীপ্তি দিয়াছেন, সেই অগাহ্য করিবে ? তাহাদের এই প্রশ্নের সমাধান করিতে হইবে : — আমি কি নিজেকে অস্বীকার করিব এবং যে সাক্ষ্যকলাপ আমার পাপ সম্বন্ধে ভৎসনা করে, সে সকল ঈশ্বরের বাক্য বলিয়া গ্রহণ করিব, অথবা সাক্ষ্যকলাপ আমার পাপ সম্বন্ধে তিরস্কার করে, এই কারণ আমি উহা অগ্রাহ্য করিব ? 8 CCh 276.2