পিতৃকুলপতিগণ ও ভাববাদীগণ
নিয়ম-সিন্দুক যিরূশালেমে ফেরৎ আনা হয়
যখন দায়ূদ সিংহাসনে শক্ত ভাবে প্রতিষ্ঠিত হলেন, তখন তিনি তার কাম্য লক্ষ্য বাস্তবায়নে মনোযোগী হলেন আর ঐ লক্ষ্য ছিল নিয়ম-সিন্দুক যিরূশালেমে নিয়ে আসা। এটা অবশ্যই উপযুক্ত ছিল যে জাতীয় রাজধানী ঈশ্বরের উপস্থিতির প্রতীক দ্বারা গৌরবান্বিত হবে। দায়ূদের ইচ্ছা ছিল যে ঐ সময়টিকে মহা আনন্দ ও মনোহর দৃশ্য দ্বারা স্মরণীয় করে তোলা। লোকেরা সহজেই সাড়া দিল। মহা-যাজক ও অধিপতিগণ এবং বিভিন্ন বংশের প্রাচীনেরা কিরীয়া-যিয়ারিমে একত্রিত হলেন। পবিত্র আবেগে দায়ূদের মুখ উদ্ভাসিত হয়ে উঠল। নিয়ম-সিন্দুক অবীনাদবের ঘর হতে বের করে একটি নতুন গোরুর গাড়ীতে রাখা হল, আর অবীনাদবের দুই ছেলে এর সাথে সাথে থেকে সেবা করতে লাগল। PPBeng 512.2
ইস্রায়েলের লোকেরা আনন্দের গান ও চিৎকার সহকারে এর পেছন পেছন চলতে লাগল, আর বাদ্য যন্ত্রের সাথে সাথে অগণিত কন্ঠে সুরও ধ্বনিত হতে লাগণ। “আর দায়ূদ ও ইস্রায়েলের সমস্ত বংশ সদাপ্রভুর সম্মুখে... বাদ্য যন্ত্র এবং সেতার, দুতারা, তাম্বুরা, বীণা, নেবল ও করতাল বাজাইলেন ।” গম্ভীর আনন্দ সহকারে বিশাল মিছিল অধিত্যকা ও উপত্যকা বেয়ে সর্পিল গতিতে পবিত্র শহরের দিকে এগিয়ে চল্ল। কিন্তু “তাহারা নাখোনের খামার পর্য্যন্ত গেলে ঊষ হাত বিস্তার করিয়া ঈশ্বরের সিন্দুক ধরিল, কেননা বলদজোড়া পিছলাইয়া পড়িয়াছিল। তখন ঊষের প্রতি সদাপ্রভুর ক্রোধ প্রজ্বলিত হইল, ও তাহার হঠকারিতা প্রযুক্ত ঈশ্বর সেই স্থানে তাহাকে আঘাত করিলেন; তাহাতে সে তথায় ঈশ্বরের সিন্দুকের পার্শ্বে মরিয়া গেল।” আনন্দকারীদের ভিতর ভীতির সূচনা হল। দায়ূদ অত্যন্ত সতর্ক হলেন, এবং ঈশ্বরের এই দন্ডাদেশ সম্পর্কে তার মনে প্রশ্ন উঠল। এই আনন্দকে দুঃখে ও কান্নায় পরিণত করার জন্য এই ভয়ানক দন্ড কেন প্রদান করা হল? তার কাছে নিয়ম-সিন্দুক রাখা নিরাপদ নয় মনে করে দায়ূদ সিদ্ধান্ত নিলেন যে সিন্দুকটি যতদূর আনা হয়েছে সেখানেই থাকবে। ওবদ-ইদোমের বাটীতে এটিকে রাখার জন্য স্থান পাওয়া গেল । PPBeng 512.3