পিতৃকুলপতিগণ ও ভাববাদীগণ
চেয়েও গুরুত্ব-পূর্ণ।
অনেকে আবার মনে করেন যে ভূতুড়ে বিদ্যা শুধু প্রতারণা মাত্র। এর বিভিন্ন প্রকাশকে ছলনা বলে ধরে নেয়া হয়। যদিও ইহা ঠিক যে কলা- কৌশলকে প্রায়ই সত্য বলে চালিয়ে দেয়া হয়, তথাপি প্রকৃতি বহির্ভূত ক্ষমতারও যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। আবার যারা ভুতুড়ে বিদ্যাকে মানুষের ছল-চাতুরী বলে বিশ্বাস করেন, যখন তারা এমন সব ঘটনার মোকাবেলা করেন যা ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়, তখন তারা এর দাবী স্বীকার করতে বাধ্য হন। PPBeng 497.3
আধুনিক ভুতুড়ে বিদ্যা ও পুরাতন ডাইনী বিদ্যা যার সব কিছুই মৃতদের সাথে যোগাযোগের নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। সেই প্রথম মিথ্যার উপর স্থাপিত যা শয়তান এদনে আদম ও হবাকে বলেছিল: “কোন ক্রমে মরিবে না; কেননা ঈশ্বর জানেন, যে দিন তোমরা তাহা খাইবে....তোমরা ঈশ্বরের সদৃশ হইয়া সদসদ-জ্ঞান প্রাপ্ত হইবে।” আদিপুস্তক ৩:৪, ৫। একই ভাবে মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত যাদুবিদ্যা প্রকৃত শয়তানেরই কাজ । PPBeng 497.4
প্রাচীন ঈশ্বর বলেছিলেন, “মৃতেরা কিছুই জানে না,... সূর্যের নীচে যে কোন কার্য করা যায়, তাহাতে কোন কালেও তাহাদের আর কোন অধিকার হইবে না।” উপদেশক ৯:৫, ৬। “তাহার শ্বাস নির্গত হয়, সে নিজ মৃত্তিকায় প্রতিগমন করে; সেই দিনেই তাহার সংকল্প সকল নষ্ট হয়।” গীতসংহিতা ১৪৬:৪ । PPBeng 498.1
ঈশ্বর ইস্রায়েলদের নিকট ঘোষণা করেছিলেন, “আর যে কোন প্রাণী ভূতড়িয়া কিংবা গুণীদের অনুগমনে ব্যভিচার করিবার জন্য তাহাদের অভিমুখ হয়, আমি সেই প্রাণীর প্রতি বিমুখ হইয়া তাহার লোকদের মধ্য হইতে তাহাকে উচ্ছিন্ন করিব।” লেবীয় ২০:৬। PPBeng 498.2
“ভূতড়িয়া” মৃত লোকদের আত্মা নয়, কিন্তু তারা মন্দ আত্মা, শয়তানের প্রতিনিধি । ইস্রায়েলদের বিষয়ে গীতসংহিতায় বলা হয়েছে, “তাহারা আপনাদের পুত্রদিগকে, আর আপনাদের কন্যাদিগকে ভূতদের উদ্দেশে বলিদান করিল;” আর পরবর্তী পদে ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে যে তারা কনানীয় প্রতিমাগণের উদ্দেশে তাহাদিগকে বলিদান করিল। গীতসংহিতা ১০৬:৩৭, ৩৮ । মৃত লোকদের উপাসনা করছিল । PPBeng 498.3