পিতৃকুলপতিগণ ও ভাববাদীগণ

227/333

ঈশ্বরের পরিকল্পনা বর্তমান কালের আর্থ-সামাজিক সমস্যার সমাধান করবে

অনেকেই প্রচার করেন যে সকলেই যেন পৃথিবীর আশীর্বাদের সমান অধিকার ভোগ করতে সক্ষম হয়। কিন্তু পৃথিবীর মালিকের উদ্দেশ্যে ঐ ধরণের ছিল না। বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থার মাধ্যমেই ঈশ্বরের চরিত্রের উৎকর্ষতা সৃষ্টি করে থাকেন। তিনি চান যে যারা পার্থিব বিষয়ে ধনী তারা নিজদের ঈশ্বরের সম্পদের রক্ষকরূপে চিন্তা করবে, যে সম্পদ অভাবগ্রস্থদের উপকারার্থে ব্যয় করতে হবে। PPBeng 384.5

খ্রীষ্ট বলেছেন যে দরিদ্ররা সর্বদাই আমাদের মধ্যে থাকবে। মুক্তিদাতার হৃদয়ের সহানুভূতি পৃথিবীতে তাঁর নিম্নতম সন্তানদের প্রতি অধিক ছিল। তিনি বলেছেন যে এরাই হল তার প্রতিনিধি, আর তাদের আমাদের মধ্যে এই জন্য রাখা হয়েছে যে তিনি দুঃখী ও অত্যাচারিত জনের প্রতি যে প্রেম বোধ করেন আমাদের হৃদয়েও যেন সেই প্রেমের উদ্রেক ঘটে । তাদের প্রতি নিষ্ঠুরতা অথবা অবহেলা প্রদর্শন তাঁর প্রতি নিষ্ঠুরতা অথবা অবহেলা প্রদর্শন করার সমতুল্য। PPBeng 384.6

দরিদ্রদের উপকারার্থে প্রদত্ত ঈশ্বরের ব্যবস্থা-সমূহ যদি প্রচলিত থাকত, তবে বর্ত্তমান পৃথিবীর নৈতিক, আত্মিক ও পার্থিব অবস্থা কতই না ভিন্নরূপ হতে পারত! বিভিন্ন দেশে যে দুরাবস্থা বর্তমানে পরিলক্ষিত হচ্ছে তা কোন মতেই বিরাজ করত না । PPBeng 385.1

ঈশ্বরের আদিষ্ট নীতি সেই ফলাফলকে প্রতিরোধ করবে যে ফলাফল গরীবদের প্রতি ধনীদের অত্যাচার ও ধনীদের প্রতি গরীবদের ঘৃণার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে। যদিও এগুলি প্রচুর সম্পদ দখল করায় বাধা হত, কিন্তু যে কোটি কোটি লোকের দাসত্বের মাধ্যমে ঐ বিশাল ঐশ্বর্য্য একত্রিত করা হয়, তাদের অজ্ঞতা ও অবক্ষয় ঐগুলি প্রতিরোধ করতে সক্ষম হত। যে বিশৃঙ্খলা ও রক্তপাত বর্ত্তমান পৃথিবীকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে, ঈশ্বরের নীতি সেগুলিকে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান দান করত । PPBeng 385.2