খ্রীষ্টীয় পরিচর্যা
এলিয়ের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা
হতাশা এবং আপাত পরাজয়ের সেই দিনগুলিতে এলিয়ের অভিজ্ঞতা থেকে, অনেক শিক্ষা চয়ন করা যায়, - এই যুগে ঈশ্বরের দাসদের কাছে অমূল্য সঠিকতা থেকে সাধারণ প্রস্থান হিসাবে চিহ্নিত এই শিক্ষামালা। আজকে যে ধর্মভ্রষ্টতা বিরাজ করছে তা ভাববাদীর দিনে সারা ইস্্রায়েলে সমভাবে বিরাজ করত। ঈশ্বরের উপরে মানুুষকে গৌরবান্বিত করতে, জনপ্রিয় নেতাদের প্রশংসা করতে, ম্যামনের উপাসনায় এবং বিজ্ঞানের শিক্ষাকে প্রত্যাদিষ্ট সত্যের ঊর্ধ্বে রাখতে, আজকের মানবসমাজ বালদেবতাকে অনুসরণ করছে। সন্দেহ ও অবিশ্বাস মন এবং হৃদয়ের উপরে তাদের বিধ্বংসী প্রভাব বিস্তার করছে, এবং অনেকে ঈশ্বরের বাণীর স্থলে মানুষের মতবাদকে প্রতিস্থাপন করছে। এটি সার্বজনিকভাবে শিক্ষা দেওয়া হয় যে আমরা এমন এক সময়ে পৌঁছে গেছি যেখানে মানবিক যুক্তিকে শাস্ত্রবাক্যের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। ঈশ্বরের বিধান, ধার্মিকতার ঐশী মানদণ্ড কোন কাজের নয় বলে ঘোষণা করা হয়। সমস্ত সত্যের শত্রু পুরুষ এবং স্ত্রীলোকেদের ঐশ্বরিক প্রতিষ্ঠানের জায়গায় মানব প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার জন্য এবং মানবজাতির সুুখস্বাচ্ছন্দ্য এবং মুক্তিলাভের জন্য যে আদেশ দেওয়া হয়েছিল তা ভুলে যাওয়ার জন্য প্রতারণামূলক শক্তিতে কাজ করছে। তথাপি এই ঈশ্বরদ্রোহিতা, ব্যাপকভাবে প্রসারিত হলেও, সর্বজনীন হতে পারেনি। ভূপৃষ্ঠের সকলেই ব্যবস্থাহীন এবং পাপাসক্ত নন; সকলেই শত্রুর পক্ষ নেননি। ঈশ্বরের এমন হাজার হাজার লোক রয়েছেন যারা বালদেবের কাছে জানু পাতেননি, অনেকেই খ্রীষ্ট এবং ব্যবস্থা সম্পর্কে আরও পূর্ণরূপে বুঝতে আগ্রহী, অনেকেই আশা করছেন যে যীশু পাপ ও মৃত্যুর রাজত্বের অবসান ঘটাতে শীঘ্রই আসবেন। এবং অনেকে আছেন যারা অজ্ঞানতাবশত বালদেবতার উপাসনা করেছেন, কিন্তু ঈশ্বরের আত্মা এখনও তাদের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। -Prophets and Kings, 170, 171. ChSBen 61.1