যুবক যুবতিদের প্রতি বার্তা
অন্তরাত্মার অলঙ্কার
খ্রীষ্টের অনুসারীরা কি অন্তরাত্মার অলঙ্কার, এবং নম্র ও ধৈর্যশীলতার অন্বেষণ করতে সচেষ্ট হবে, যা ঈশ্বর মহা মূল্যবান বলে ঘােষণা করেছেন, নাকি তারা অবসর সময়ের কিছুটা অংশ অযথা শ্রম দিয়ে প্রদর্শনীর জন্য অপচয় করবে? প্রভুর অন্বেষী নারী মন ও আত্মার উন্নয়নে অবিরত সচেষ্ট থাকবে, তার বুদ্ধিমত্তা এবং নৈতিক শক্তি থাকবে যাতে তিনি একটি কার্যকর ও সুখী জীবনকে পরিচালনা দিতে পারেন, যাতে তিনি বিশ্বের জন্য একজন আশীর্বাদ স্বরূপ হন এবং তার সৃষ্টিকর্তাকে সম্মান করতে পারেন। MYPBen 349.1
যে সমস্ত যুবক-যুবতি নিজেদের বর্তমান সত্যে বিশ্বাসী বলে দাবী করে, আজকের দিনের সেই সমস্ত যুবক-যুবতিদের আমি জিজ্ঞেস করতে চাই, কোন বিষয়ে তারা সত্যের জন্য নিজেকে অস্বীকার করে? যখন তারা প্রকৃতপক্ষে পােশাক-পরিচ্ছদ সংক্রান্ত প্রকাশনা, অথবা কিছু কিছু অলঙ্কার বা সুবিধাদি প্রত্যাশা করে, প্রভুর আত্মা ব্যয়বহুল এই বিষয়গুলােকে অনুমােদন দেবেন কি না তা জানার জন্য ব্যাপারটিকে প্রার্থনায় প্রভুর সম্মুখে রাখে? পােশাক-পরিচ্ছদ প্রস্তুতের ব্যাপারে, তাদের ঘােষিত বিশ্বাসের যাতে অসম্মান না হয় তারা কি সেই ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক? সময়কে তারা যেভাবে ব্যবহার করে তার দ্বারা তারা কি প্রভুর আশীর্বাদ অন্বেষণ করতে পারে? মণ্ডলীতে যােগ দেওয়ার ব্যাপারটি এক কথা, এবং খ্রীষ্টেতে পূর্ণরূপে এক হওয়ার ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। খ্রীষ্টের মণ্ডলীতে অপবিত্র, জগৎ-প্রেমী উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ধর্ম গুরুরাই মণ্ডলীর দুর্বলতার কারণসমূহের অন্যতম একটি গুরুতর কারণ। MYPBen 349.2
বিশ্বের এই যুগে আনন্দের জন্য নজিরবিহীন একটি উন্মাদনা রয়েছে। ক্ষতিকর আমােদ-প্রমােদে লিপ্ততা এবং বেপরােয়া অপচয় সর্ব স্থানে বিরাজমান। অগণিত নর-নারী বিনােদনের জন্য আন্তরিকভাবে আগ্রহী। মন তুচ্ছ ও অকিঞ্চিৎকর হয়ে পড়ে, কারণ এটি ধ্যানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, অথবা অধ্যয়নের সঙ্গেও মানানসই নয়। নির্বোধ ভাব বিলাসিতা চলছে। ঈশ্বর চান প্রত্যেকটি হৃদয় যেন বিকশিত হয়, বিশুদ্ধ হয়, মানসিকভাবে উন্নত হয়, এবং নৈতিকভাবে উন্নত হয়। তবে সচরাচর প্রত্যেকটি মূল্যবান অর্জন, অনুসরণকারী ফ্যাশান প্রদর্শনীর কারণে এবং বাহ্যিক রঙ্গরসের কারণে উপেক্ষিত হয়েছে। নারীরা তাদের অন্তরকে ফ্যাশানের প্রতি মরিয়া হয়ে আকাঙ্খী হতে এবং পূর্ণভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে সুযােগ দেয়, এবং এভাবে তারা সমাজের জন্য আশীর্বাদ না হয়ে অভিশাপ হয়। — Review and Herald, December 6, 1881. MYPBen 349.3