স্বাস্থ্য এবং সুখ
দরিদ্রদের জন্য বিবেচনা
এই ব্যবস্থা করায় দারিদ্র সম্পূর্ণরূপে দূর হয়নি। ঈশ্বর সদাপ্রভুর কোন উদ্দেশ্য ছিল না যাতে দরিদ্রতা সম্পূর্ণরূপে দূর হয়ে যায়। এটা ছিল তাঁর একটা কৌশল যাতে মানব চরিত্রের উন্নতি সাধিত হয়। তিনি বললেন, ” কেননা তোমার দেশমধ্যে দরিদ্রের অভাব হইবে না; অতএব আমি তোমাকে এই আজ্ঞা দিতেছি, তুমি আপন দেশে তোমার ভ্রাতার প্রতি; তোমার দুঃখী ও দীনহীনের প্রতি তোমার হস্ত অবশ্য খুলিয়া রাখিবে।”দ্বিতীয় বিবরণ ১৫:১১। MHBen 167.2
“তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিতেছেন, তথাকার কোন নগর দ্বারের ভিতরে যদি তোমার নিকটস্থ কোন ভ্রাতা দরিদ্র হয়, তবে তুমি আপন হৃদয় কঠিন করিও না; বা দরিদ্র ভ্রাতার প্রতি আপন হস্ত রুদ্ধ করিও না; কিন্তু তাহার প্রতি মুক্তহস্ত লইয়া তাহার অভাবজন্য প্রয়োজনানুসারে তাহাকে অবশ্য ঋণ দিও।” দ্বি: বি: ১৫:৭, ৮। MHBen 167.3
“আর তোমার ভ্রাতা যদি দরিদ্র হয়, ও তোমার কাছে শূন্যহস্ত হয়, তবে তুমি তাহার উপকার করিবে; সে বিদেশী ও প্রবাসীর ন্যায় তোমার সাথে জীবন ধারণ করিবে।”লেবীয় ২৫:৩৫। MHBen 167.4
“আর তোমরা যখন আপন আপন শস্য কাট, তখন তুমি ক্ষেত্রের কোণস্থ শস্য নিঃশেষে কাটিও না।”লেবীয় ১৯:৯। MHBen 167.5
“তুমি ক্ষেত্রে আপন শস্য ছেদন কালে যদি এক আটি ক্ষেত্রে ফেলিয়া রাখিয়া আসিয়া থাক, তবে তাহা লইয়া আসিতে ফিরিয়া যাইওনা না। ...যখন তোমার জিতবৃক্ষের ফল পাড়, তখন শাখাতে আবার অবশিষ্টের খোঁজ করিবে না। যখন তোমার দ্রাক্ষাক্ষেত্রের দ্রাক্ষাফল চয়ন কর, তখন চয়নের পরে আবার কুড়াইও না; তা বিদেশীর, পিতৃহীনের ও বিধবার জন্য থাকিবে।”দ্বি: বি: ২৪:১৯-২১। MHBen 168.1
কারও ভীত হওয়ার কোন কারণ নেই যে তাদের নমনীয়তার কারণে তারা অভাবগ্রস্ত হতে পারে। ঈশ্বরের আজ্ঞার প্রতি অনুগত থাকলে উন্নতি অবশ্যম্ভাবী। এই কার্য প্রযুক্ত তোমার ঈশ্বর তোমার সমস্ত কার্য। ঈশ্বর বললেন, “তুমি যাহাতে যাহাতে হস্তক্ষেপ করিবে, সেই সকলেতে তোমাকে আশীর্ব্বাদ করিবেন।”“আর তুমি অনেক জাতিকে ঋণ দিবে, কিন্তু আপনি ঋণ নিবে না; এবং অনেক জাতির উপরে কর্তৃত্ব করিবে। কিন্তু তাহারা তোমার ওপরে কর্তৃত্ব করিবে না।”(দ্বি: বি: ১৫:১০, ৬)। MHBen 168.2