স্বাস্থ্য এবং সুখ
পাপ রোগের কারণ
যখন যীশু রোগ নিরাময় করতেন, তিনি অনেক রোগাক্রান্তকেসতর্ক করে বলেছেন, “আর পাপ করিও না, পাছে তোমার আরও অধিক মন্দ ঘটে।”যোহন ৫:১৪)। এইভাবে তিনি শিক্ষা দিলেন যে, ঈশ্বরের আইন লঘন করেই তারা নিজেদের ওপরে রুগ্নতা এনেছেন এবং আজ্ঞাবহতার মাধ্যমেই কেবল সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা যায় MHBen 88.6
চিকিৎসকের রোগিদেরকে শিক্ষা দেয়া উচিত, যেন নিজেদেরকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেবার কাজে তারা ঈশ্বরের সাথে সহযোগিতা করেন। বাস্তবতা সম্পর্কে চিকিৎসকের অবিরাম ক্রমবর্দ্ধনশীল উপলব্ধি রয়েছে যে, পাপের ফলই রোগ। তিনি জানেন যে, দশ আজ্ঞার ধর্মীয় অনুশাসন যেমন ঈশ্বরের তরফ থেকে এসেছে তেমনি এসেছে প্রকৃতির নিয়ামবলী, আর সেগুলো মেনে চললেই স্বাস্থ্য পুনরুদ্বার ও রক্ষা করা যায়। ক্ষতিকর অভ্যাসের ফলে অনেক যাতনাগ্রস্ত ব্যক্তিকে দেখেছেন, যারা তাদের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের জন্য যা করা উচিত তা করলে স্বাস্থ্য পুনরায় সুস্থ হতে পারে। তাদেরকে শিক্ষা দিতে হবে যে, প্রত্যেকটি অভ্যাস বা ক্সদহিক, মানসিক কিম্বা আধ্যাত্মিক কর্মশক্তি ধ্বংস করে তা-ই পাপ আর সমস্ত মানব কুলের মঙ্গলার্থে প্রতিষ্ঠিত ঈশ্বরের নিয়মের বাধ্যতার মাধ্যমে স্বাস্থ্য পুনরুদ্বার করা যাবে। MHBen 89.1
চিকিৎসক যখন দেখেন যে একজন রোগী অনুচিত খাদ্য ও পান অভ্যাস কিম্বা অন্য মন্দ অভ্যাসের কারণে কষ্ট পাচ্ছে, এবং তার পরও তার কাছে সে সম্পর্কে বলতে সে অবজ্ঞা করছে, এর দ্বারা সে তার সহমানবের ক্ষতি করছে। মদ্যপ, মাতাল, উম্মাদ, যারা লম্পটতায় লিপ্ত, সকলে চিকিৎসকের কাছে আবেদন জানায় যেন তিনি স্পষ্ট ও নির্দিষ্টভাবে ঘোষণা দেন যে এই প্রকার যাতনা ভোগ পাপেরই ফল। যারা জীবনের মূলনীতি অনুধাবন করতে পারেন, তারা রোগের কারণ সমূহের প্রতিবিধান পালন করতে আন্তরিক চেষ্টা চালান। ব্যথার সাথে অবিরাম সংঘাত, দুর্দশা লাঘবে অবিরত কঠোর পরিশ্রম দেখে কি প্রকারে একজন চিকিৎসক নীরব থাকতে পারেন? রোগ নিরাময়ের একটা উপায় স্বরূপ কঠোর মিতাচার সম্পর্কে যদি তিনি শিক্ষা না দেন, তবে কি তিনি পরোপকারী এবং দরদী MHBen 89.2