স্বাস্থ্য এবং সুখ

2/269

১ - আমাদের আদর্শ

“আমি তোমাদের মধ্যে
এক জন সেবকের মতই আছি।”

আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট, মনুষ্যের অপরিহার্য অক্লান্ত দাসরূপেই এই পৃথিবীতে এসেছিলেন। “তিনি আপনি আমাদের দুর্বলতা সকল গ্রহণ করিলেন ও ব্যাধি সকল বহন করিলেন,” (মথি ৮:১৭) যেন তিনি মানবজাতির সর্ব-প্রয়োজনে পরিচর্যা দিতে পারেন। ব্যাধি-পীড়া, দুর্ভাগ্য এবং পাপের বোঝা অপসারণ করতেই তিনি এসেছিলেন। মানুষের জন্য পূর্ণ পুনরুদ্বার আনয়নই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য; তিনি এসেছিলেন তাদেরকে স্বাস্থ্যে, শান্তি এবং চরিত্রের সিদ্ধতা দান করতে। MHBen 7.1

তাদের বিভিন্ন প্রকারের অভাব ছিল, যারা তাঁর সাহায্য লাভের অন্বেষণ করেছিল। আর যারা তাঁর কাছে আসতেন তাদের কেউই সাহায্যবিহীন চলে যায়নি। তাঁর কাছ থেকে সুস্থতা দানকারী একটা স্রোত প্রবাহিত হ’ত, আর শরীর, মন এবং আত্মায় মনুষ্যেরা সুস্থতা লাভ করত। MHBen 7.2

ত্রাণকর্তার কাজে সময় অথবা স্থান কোন প্রতিবন্ধকতা স্বরূপ ছিল না। তাঁর সহানুভূতি ছিল সীমাহীন। তাঁর আরোগ্যদান এবং শিক্ষাদান কাজ এত প্রসারিত ছিল যে, তাঁর কাছে ভিড় করা বিশাল জনতাকে স্থান দেবার জন্য প্যালেষ্টাইনে কোন বড় ঘর ছিল না। গালীলের সবুজ, ঢালু পাহাড় গাত্রে, যাতায়াতের উন্মুক্ত রাস্তায়, সাগর তীরে সমাগম স্থান এবং অন্যান্য প্রত্যেক স্থানে যেখানেই লোকদের তাঁর কাছে আনা হত, তা ছিল তাঁর হাসপাতাল স্বরূপ। প্রতিটা শহরে, প্রতিটা নগরে, প্রতিটা গ্রামে যে স্থান দিয়ে তিনি যাওয়া আসা করতেন, তিনি ব্যাধি-প্রপীড়িত লোকদের ওপরে তাঁর হাত বাড়িয়ে স্পর্শ করতেন এবং তাদের সুস্থ করতেন। যেখানেই লোকদের অন্তঃকরণ তাঁর বার্তা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত থাকত সেখানেই তিনি স্বর্গস্থ পিতার প্রেম দ্বারা তাদের স্বান্তনা দিতেন। দিনভর যারা তাঁর কাছে আসত, তিনি তাদের পরিচর্যা করতেন; দিনের বেলায় যেমন, তিনি সন্ধ্যাকালেও তাদের প্রতি মনোযোগ প্রদান করতেন, কেননা পরিবারের ভরণ-পোষণের জন্য তাদের কিছু রোজগার করতে হবে। MHBen 7.3

মানব জাতির মুক্তির জন্ত যীশু খ্রীষ্ট অত্যন্ত ভারী বোঝা বহন করেছেন। তিনি জানতেন যে, মানব জাতির জন্য দায়িত্বের যদি নীতিমালা এবং উদ্দেশের সুনিশ্চিত কোন পরিবর্তন না হয় তবে সবাই হারিয়ে যাবে। এটা ছিল তাঁর জীবনের বোঝা, এবং তাঁর ওপর যে বোঝা চাপানো ছিল, তা কেউ-ই পছন্দ করবে না। শৈশব, যৌবন এবং বয়ঃপ্রাপ্তি, এসবের মধ্য দিয়ে তিনি একাই পথ চলেছেন। তথাপি স্বর্গই ছিল তার সান্নিধ্য। দিনের পর দিন, তিনি পরীক্ষা এবং প্রলোভনের সম্মুখীন হয়েছেন, দিনের পর দিন তিনি মন্দতা বা পাপের সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি যাদেরকে আশীর্বাদ করবার জন্য এবং পরিত্রাণ দেবার জন্য অন্বেষণ করতেন মন্দ আত্মা তাদের ওপরে আসাটা তিনি প্রত্যক্ষ করতেন। তথাপি তিনি অকৃতকার্য কিম্বা নিরুৎসাহিত হতেন না। MHBen 8.1

সব কিছুর মধ্যেই তিনি তার কাজে কড়াকড়িভাবে একটু বিরতি বা বিশ্রামের আশা করতেন। তিনি সর্বক্ষেত্রে তাঁর পিতার ওপরে নির্ভরশীল হয়ে তার জীবনকে মহিমান্বিত করতেন। তার যে․বনে তাঁর মা তাকে রব্বিদের স্কুলে খুঁজে পেয়ে বলেছিলেন, “বৎস, তুমি আমাদের প্রতি এরূপ ব্যবহার কেন করিলে?” আর তাঁর জীবনের মূল কাজ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত উত্তর দিল, “তোমরা কেন আমার অন্বেষণ করিলে? আমার পিতার গৃহে আমাকে থাকিতেই হইবে, ইহা কি জানিতে না?” (লূক ২:৪৮, ৪৯)। MHBen 8.2

তাঁর জীবন ছিল বিরামহীন এক আত্ম-ত্যাগের জীবন। পার্থিব কোন বাড়ী-ঘর তাঁর ছিল না। কেবলমাত্র একজন পথিকরূপে তিনি বন্ধুবান্ধবদের দয়াই লাভ করতেন। তিনি আমাদের পক্ষ হয়ে দরিদ্রতম জীবন যাপন করতেই এসেছিলেন। দরিদ্র ও দুঃখভোগী লোকদের মধ্যেই চলাফেরা করতেন এবং কাজ করতেন। অচেনা এবং অসমাদৃত থেকে তিনি লোকদের সঙ্গে ভেতরে এসেছেন ও বাইরে গেছেন আর তাদের জন্য কত অধিকই-না করেছেন। MHBen 8.3

তিনি সতত ধৈর্যশীল এবং প্রফুল্লচিত্ত ছিলেন, আর যাতনাগ্রস্ত লোকেরা তাঁকে জীবন ও শান্তির একজন বার্তাবাহকরূপে অভিবাদন করেছেন। তিনি নর-নারী, শিশু এবং যুবকযুবতীদের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখেছেন এবং সকলকেই তিনি নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন, “আমার নিকটে আইস।” MHBen 9.1

তাঁর পরিচর্যাকালীন সময়ে যীশু খ্রীষ্ট প্রচার কাজ অপেক্ষা আরোগ্যদানে অধিক সময় দিয়েছেন। তাঁর অলৌকিক কাজ তাঁর বাক্যের সত্যের সাক্ষ্য বহন করেছে যে, তিনি ধ্বংস করতে নয় কিন্তু পরিত্রাণ করতে এসেছেন। তিনি যেখানেই গেছেন, তাঁর অনুগ্রহের সুখবর তাঁর অগ্রে অগ্রে চলেছে। যে পথ তিনি অতিক্রম করেছেন, তাঁর সহানুভূতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যসমূহ ছিল সুস্বাস্থ্য দান করা আর তাদের নতুন শক্তির পরখ করা। জনতার চারদিকে সংগৃহীত লোকদের মুখে প্রভুর কৃতকার্যের রব শ্রুত হচ্ছিল। তাঁর কণ্ঠস্বরটি ছিল জীবনে সর্বপ্রথম শোনা স্বর, তাঁর নামটিই ছিল সর্বপ্রথম মুখে উ‪চারিত কথা; তাঁর মুখমণ্ডলই ছিল অনেকের জন্য জীবনে প্রথম দৃশ্য। তারা কেন যীশুকে প্রেম করবে না, আর কেনই বা তারা তাঁর প্রশংসা করবে না? যেমন তিনি শহর বন্দর অতিক্রম করে যাচ্ছিলেন, তিনি ছিলেন একটি জীবন্ত প্রবাহ স্বরূপ, যা জীবন এবং আনন্দ বিতরণ করে যাচ্ছিল। MHBen 9.2

“সবূলূন দেশ ও নপ্তালি দেশ, সমুদ্রের পথে, যর্দ্দনের পরপারে,
পরজাতিগণের গালীল, যে জাতি অন্ধকারে বসিয়াছিল, তাহারা
মহা আলো দেখিতে পাইল,যাহারা মৃত্যুর দেশে, ও
ছায়াতে বসিয়াছিল, তাহাদের উপরে আলো
উদিত হইল।”
MHBen 9.3

মথি ৮:১৫, ১৬।

ত্রাণকর্তা প্রতিটা সুস্থতার কাজকে মনে ও আত্মায়-ঐশ্বরিক নীতিমালা রোপণ করবার একটা সুযোগ করে নিতেন। এটাই ছিল তাঁর কাজের উদ্দেশ্য। তিনি পার্থিব আশীর্বাদ বণ্টন করতেন, যেন তিনি মানবন্তকরণকে তাঁর শান্তির সংবাদ গ্রহণে ইচ্ছুক করতে পারেন। MHBen 9.4

যীশু খ্রীষ্ট যিহূদী জাতির শিক্ষা দাতাদের মধ্যে সর্বো‪চ্চ স্থান করে নিতে পারতেন; কিন্তু তিনি দরিদ্রদের কাছে সুসমাচার নিয়ে যাওয়াটাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। তিনি একস্থান থেকে অন্যস্থানে যেতেন, যেন যারা রাজপথে এবং অলি গলিতে রয়েছে, তারা সত্যের বাক্য শুনতে পারে। সমুদ্রতীরে, পর্বতের পাশে, শহরের রাস্তাঘাটে, মন্দিরের লোকেরা তাঁর শাস্ত্রবাণী বিশ্লেষণ শ্রবণ করত। তিনি মন্দিরের বাইরের প্রাঙ্গণে শিক্ষা দিতেন, যেন পরজাতিরা তাঁর কথা শুনতে পারে।‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬ MHBen 10.1

যীশু খ্রীষ্টের শিক্ষা সদ্দূকী এবং ফরীশীদের ন্যায় ছিল না, কিন্তু এমন ছিল যাতে সর্বসাধারণ আকর্ষিত হতে পারে। রব্বিরা কুসংস্কারপন্ন মানব মুক্তি এবং মতবাদ বিশ্বাস করত। তারা প্রায়ই শাস্ত্র সম্পর্কে যা শিক্ষা দিত এবং লেখা হত, তা শাস্ত্রের স্থান অধিকার করত। যীশু খ্রীষ্টের শিক্ষার বিষয় ছিল ঈশ্বরের বাক্য ভিত্তিক। তিনি এই সব উদ্ধৃতি দ্বারা প্রশ্নের মুকাবেলা করতেন, “কেননা লেখা আছে, শাস্ত্র কি বলে?” “তোমরা কিরূপ পাঠ করছ?” বন্ধু এবং শতরুদের আগ্রহ প্রকাশের প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি বাক্য উপস্থাপন করতেন। তিনি পরিষ্কাররূপে এবং জোরালোভাবে সুসমাচার বার্তা ঘোষণা করতেন। তাঁর বাক্য, পিতৃকূল পতিগণ এবং ভাববাদিগণের শিক্ষার ওপরে এক আলোর বন্যা সৃষ্টি করতেন, এতে শাস্ত্র লোকদের কাছে একটা নতুন প্রকাশ প্রাপ্তির ন্যায় উপস্থিত হত। ইতোপূর্বে তার শ্রোতারা কখনো ঈশ্বরের বাক্যের এত গভীর অর্থ উপলব্ধি করেনি। MHBen 10.2

যীশু খ্রীষ্টের ন্যায় একজন প্রচারক কখনো ছিল না। তিনি ছিলেন স্বর্গের মহামহীয়ান ব্যক্তি, কিন্তু আমাদের প্রকৃতি গ্রহণে তিনি আপনাকে নত করেছিলেন, যেন লোকেরা যেখানে আছে, সেখানেই তাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেন। ধনী, দরিদ্র, স্বাধীন, দাস, সবার কাছে নিয়মের সংবাদবাহক যীশু খ্রীষ্ট পরিত্রাণের সংবাদ আনতেন। মহান আরোগ্যকারীরূপে তাঁর খ্যাতি প্যালেষ্টাইনের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল। তিনি যে স্থানেই যেতেন, অসুস্থ ব্যক্তিরা সেই স্থানেই সমবেত হত, যেন তারা সেখানেই তাঁর সাহায্য পেতে পারে। এস্থানেও অনেকে তাঁর বাক্য শোনার জন্য আগ্রহান্বিত ছিল যেন তাঁর হাতের স্পর্শ লাভ করতে পারে। এরূপে নগর থেকে নগরে, শহর থেকে শহরে, মঙ্গল সমাচার প্রচার করতেন এবং রোগী সুস্থ করতেন, মানবতার সাধারণ পোশাকে মহিমার রাজা। MHBen 10.3

তিনি জাতির বাৎসরিক মহাভোজে যোগদান করতেন, এবং প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে লোকদের আকর্ষণ করে, তিনি স্বর্গীয় বিষয় কথা বলতেন, তাদের স্মৃতিপটে অনন্তকালের জন্য আনয়ন করতেন। তিনি সবার কাছে জ্ঞান ভান্ডার থেকে ঐশ্বর্য আনয়ন করতেন। তিনি এত সহজ-সরল ভাষায় কথা বলতেন যেন কেউ তাঁর কথা বুঝতে ব্যর্থ না হয়। তিনি তাঁর নিজস্ব বিশেষ পদ্ধতি দ্বারা, তিনি দুঃখী ও অত্যাচারিতদের সাহায্য করেছেন। করুণা ও সদয় অনুগ্রহে, তিনি পাপক্লিষ্ট, আত্ম-তাড়নাগণের সেবা করেছেন, নিরাময় ও শক্তি আনয়ন করেছেন। MHBen 11.1

শিক্ষকদের অধ্যক্ষ, লোকদের অতীব পরিচিত পথে তাদের সংস্পর্শে আসতেন। তিনি এমনভাবে সত্য উপস্থাপন করতেন যে, পরবর্তীতে তাঁর শ্রোতাদের কাছে, অতীব পবিত্র স্মৃতি এবং বুদ্ধিগত সাম্যবোধের সাথে জড়িত করতেন। তিনি এমনভাবে শিক্ষা দিতেন যা, তাদের স্বার্থ এবং সুখের, সঙ্গে সম্পূর্ণ পরিচিত অনুভব করত। তাঁর শিক্ষা এতই সরাসরি ছিল, তাঁর দৃষ্টান্তসমূহ এতই উপযুক্ত ছিল, তাঁর বাক্য এতই সহানুভূতিসূচক এবং আনন্দের ছিল যে, তাঁর শ্রোতামণ্ডলীর মন মুগ্ধ হয়ে যেত। সরলতা এবং তিনি অভাবগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলতেন, প্রতিটা কথার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতেন। MHBen 11.2

তিনি কিরূপই না একটি ব্যস্ততার জীবন অতিবাহিত করতেন! দিনের পর দিন তিনি অনাড়ম্বর অভাবগ্রস্ত এবং দুঃখীদের ঘরে প্রবেশ করতেন এবং দুঃখীজনের কাছে আশার কথা বলতেন এবং ভগ্নোদ্যম লোকদের কাছে শান্তির কথা বলতেন। দয়ালু, কোমল অন্তর, সহানুভূতিশীল, তিনি অধোমুখ লোকদের তুলে ধরতেন, দুঃখার্তদের সান্ত্বনা দিতেন। তিনি যেখানেই যেতেন, আশীর্বাদ বয়ে নিয়ে যেতেন। MHBen 11.3

দরিদ্রদের সেবা করার সময়, যীশু খ্রীষ্ট ধনী লোকদের কাছে পৌঁছানোর উপায়গুলোও পর্যালোচনা করেছেন। তিনি ধনী এবং ফরীশী কৃষ্টিগত এবং যিহূদী উচ্চপদস্থ লোকদের এবং রোমীয় শাসনকর্তাদের সঙ্গে পরিচিতি লাভের চেষ্টা করেছেন। তিনি তাদের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন, ভোজোৎসবে যোগ দিয়েছেন, নিজেকে তাদের সুবিধাসমূহ এবং পেশার সঙ্গে পরিচিত করেছেন এবং যেন তিনি তাদের অন্তকরণে স্থান করে নিতে পারেন এবং তাদের কাছে অবিনশ্বর ধন প্রকাশ করতে পারেন। MHBen 11.4

যীশু খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে প্রমাণ করতে এসেছিলেন যে, ওপর থেকে শক্তি লাভ করে, মানুষ এক অকলঙ্কিত জীবন যাপন করতে পারে। ক্লান্তিহীন ধৈর্য এবং সহানুভূতিশীল সহায়ক, তিনি মনুষ্যের ন্যায় বহুবিধ অভাবের মুকাবিলা করেছেন। অনুগ্রহের কোমল স্পর্শের দ্বারা তিনি জীবন থেকে ক্লান্তি, অবসাদ এবং মন্দের নাশ করেছেন, শত্রুতা প্রেমে রূপ দিয়েছেন এবং অবিশ্বাসকে বিশ্বাসে রূপান্তরিত করেছেন। তিনি যাতে প্রীত হতেন তাকে বলতেন, “আমার পশ্চাৎ আইস,” আর সেই ব্যক্তি ওঠে তাঁর অনুসরণ করত। পৃথিবীর জাদুমন্ত্র চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়েছিল। তাঁর কণ্ঠস্বরে লোভ এবং উ‪চাকা‫ক্ষার আত্ম হৃদয় থেকে পালিয়ে গেল এবং মানুষেরা মুক্তিলাভ করে ত্রাণকর্তাকে অনুসরণ করতে ওঠল।‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬ MHBen 12.1