স্বাস্থ্য এবং সুখ

139/269

আহারে নিয়মানুবর্তিতা

নিয়মিত আহার অতিব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি আহারের জন্য একটা নির্দ্ধারিত সময় থাকবে। এই সময় প্রত্যেকে শরীরের প্রয়োজন মত আহার গ্রহণ করবে, এবং পরবর্তী আহারের পূর্বে আর কিছুই খাওয়া যাবে না। অনেকে আছেন, যারা শরীরের প্রয়োজন না হলেও কিছু খাবার খায়। অসময়ে এবং দুই আহারের মাঝে, যেহেতু এই নিদারুণ ই‪ছা দমন করবার তাদের যথেষ্ট শক্তি নেই। যাত্রাপথে, তাদের কাছে কোন ‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬ খাবার থাকলে বা সামনে কিছু পেলে অবিরত কুট্কুট্ করে কামড়াতে ব্যস্ত থাকে। এটা অত্যন্ত ক্ষতিকর। ভ্রমনকারীরা যদি নিয়মিত সাদাসিধে এবং পুষ্টিকর খাবার খায়, তবে তারা এত বড় ক্লান্তি বোধ করত না, অথবা এত বেশী অসুখে ভুগত না। MHBen 281.3

আরো একটা অতীব মারাত্মক ক্ষতিকর অভ্যাস, রাতে ঘুমোতে যাবার কেবলই আগে খাওয়া। নিয়মিত আহার হয়ত গ্রহণ করা হয়েছে; কিন্তু যেহেতু একটু দুর্বলতা বোধ হ‪চ্ছে, তাই আর খাবার গ্রহণ করা হল। এই ভুল অভ্যাস চরিতার্থ করায় একটা স্বভাবে পরিণত হয়, এবং পরে এটা দৃঢ় অভ্যাসে রূপ নেয় যে, মনে হয় না খেয়ে ঘুমোনেই অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। বিকেলের খাবার দেরী করে খাওয়ার ফলে, ঘুমোনোর সময় হজম ক্রিয়া পদ্ধতির কাজ চালু রাখতে হয়। কিন্তু যদিও বা পাকস্থ‬‬লি অবিরত কাজ করে, তথাপি এর কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন হয় না। প্রায়ই অশুভ স্বপ্ন দেখে ঘুম নষ্ট হয়, এবং সকালের খাবারের প্রতি সামান্য রুচিও থাকে না। যখন আমরা বিশ্রামের জন্য শুয়ে পড়ি, তখন ত পাকস্থলির সব কাজ শেষ হয়ে যাবার কথা, অর্থাৎ যেন শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গও বিশ্রাম উপভোগ করতে পারে। কাজের সময় বড় বেশী বসে থাকার অভ্যস্ত লোকের পক্ষে, দেরীতে সন্ধ্যের আহার গ্রহণ করা ক্ষতিকর। তাদের যে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় তা প্রায়ই ব্যাধিপীড়ার সূচনা হয় যার পরিণাম মৃত্যু।‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬ MHBen 282.1

অনেক ক্ষেত্রে দুর্বলতা যা খাবার ই‪চ্ছে এনে দেয়, যেহেতু হজম ইন্দ্রিয়ের ওপর দিনের বেলা অত্যধিক চাপ পড়েছিল। এক সাজ খাবার পরে হজম ইন্দ্রিয়ের বিশ্রাম প্রয়োজন। দুই আহারের মাঝে পাঁচ বা ছয় ঘণ্টা সময় বিরতি থাকবে; এবং অধিকাংশ লোক যারা একবার পরীক্ষা করে, তারা লক্ষ্য করবে যে, দিনে তিন বারের চেয়ে দু’বার খাওয়া ভাল।‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬ MHBen 282.2